শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার টেলিভিশনে এক আলোচনায় যথারীতি অংশ নেন মিশরীয় বিচারমন্ত্রী আহমেদ আল-জেন্দ। এসময় তিনি বলেন, আইন অমান্য করলে মহানবী সা.কে গ্রেপ্তার করা হবে বলে।
মহানবী সা. হলেও বলে ফেলেন জেন্দ। তবে তিনি এরপর দ্রুত নিজেকে সামলে নেন এবং বলেন অপরাধ পাওয়া গেলে যে অবস্থানেই থাকুক না কেন গ্রেপ্তার করা হবে। এমনকি বিচারকদেরও কারাবন্দি করা হয়।
কোনো সাংবাদিক কিংবা শিক্ষককে কারাবন্দি করার বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করব না, আমি অভিযুক্তকে কারাবন্দি করার কথা বলছি, আমি তাদের কোনো টাইটেল দিতে চাই না, বলছিলেন জেন্দ। যদিও পরে তিনি ক্ষমা চান। কিন্তু চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্যকারী মিশরীয় বিচারমন্ত্রী আহমেদ আল-জেন্দকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করেছেন মিশরের প্রধানমন্ত্রী শরীফ ইসমাইল।
জেন্দ অভিযোগ করেন মুসলিম ব্রাদারহুড তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং মিশরীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক গণমাধ্যম তাদের বিদ্বেষপ্রসূত প্রচারণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। গত জানুয়ারিতে মিশরের কয়েক সেনা সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হলে জেন্দ বলেন, নিহত সেনাদের হত্যার প্রতিশোধে ৪ লাখ ব্রাদারহুড কর্মী খতম না করা পর্যন্ত তার বুকের আগুন নিভবে না।
মিশরের বর্তমান স্বৈরশাসক আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি ২০১৩ সালের জুলাইয়ে বন্দুকের নলের মাথায় ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপর আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর হত্যাযজ্ঞ চাপিয়ে দিয়েছে।
চরম সমালোচনার মধ্যে জেন্দ নিজেই একটি টেলিভিশন টক শোতে টেলিফোন করেন এবং দাবি করেন তিনি কোনো অন্যায় করেননি। আমি বলেছি যদি যারা এই শব্দটির মানে জানেন তারা জানেন যে এটি অনুমাননির্ভর কথা… এ মন্তব্যের কোনো মানে নেই। তা সত্ত্বেও আমি আমার খাঁটি ধর্মীয় অনুভূতি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অনুতাপ প্রকাশ করেছি।
মিশরে ইসলামী শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান আল-আজহার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, মহানবী সা. সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য ভুলেও দেয়া যায় না। আরবিতে মহানবী নয়, আল-জেন্দের বিচার চাই নামে একটি হ্যাশট্যাগ এবং তার বক্তব্যের ভিডিও ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়। শুক্রবার টেলিভিশনে আলোচনায় বিচারমন্ত্রীর এই মন্তব্যর পরপরই নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। তার পদত্যাগের জোর দাবি ওঠে।