শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: বার্মিংহ্যাম সিটি কাউন্সিলে ফুড হাইজিন নিশ্চিত করতে গত পহেলা ফেব্রুয়ারী থেকে নতুন আইন চালু হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী ম্যাজিষ্ট্রেইটকে বিশাল অংকের জরিমানা প্রদানের পাশাপাশি শুধু ফুড হাইজিন আইন ভঙ্গের অপরাধে অপরাধি হিসেবে বিবেচনা না করে অভিযুক্ত রেষ্টুরেন্ট বা টেইকওয়েকে কাস্টমারদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করতে কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ম্যাজিষ্ট্রেইটদের অতিরিক্ত ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
আর নতুন এই আইনের অধিনে প্রথমবারের মতো বার্মিংহ্যামে একটি ইন্ডিয়ান টেইকওয়েকে ৩৩ হাজার পাউন্ড জরিমানা করেছে আদালত। মায়া মিডল্যান্ডস লিমিটেড নামক টেইকওয়ের উপর অর্থ দন্ড আরোপের মাধ্যমে বার্মিংহ্যামে চালু হলো এই অভিযান। এই আইন চালুর আগে বার্মিংহ্যামে ফুড হাইজিন ভঙ্গে অভিযোগে এতো বিশাল অংকের জরিমানার রেকর্ড নেই।
টেইকওয়েতে ফুড হাইজিন আইন ভঙ্গের অভিযোগে নানিটেন ম্যাজিষ্ট্রেইট কোর্টে দোষ স্বীকার করেন মায়া মিডল্যান্ডস লিমিটেডের ডাইরেক্টর মোহাম্মদ সালিক মিয়া। আদালতে খুব দ্রুত দোষ স্বীকার করায় ফুড হাইজিন আইন ভঙ্গের ৮টি অভিযোগে তাকে ৩৩ হাজার পাউন্ড জরিমানা করে আদালত। খুব দ্রুত দোষ স্বীকার করায় তিনি অন্তত ৪৮ হাজার পাউন্ড জরিমানা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলেও জানিয়েছে কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ। মায়া টেকইওয়েকে জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলেও আদালতে মন্তব্য করা হয়।
আদালতে শুনানির পর এর উদৃতি দিয়ে জানা যায়, গত বছরের আগষ্ট মাসে কাউন্সিলের ফুড স্ট্যান্ডার্ড অফিসাররা এই টেকওয়েটিতে ইন্সপেকশন করেন। ইন্সপেকশনের সময় ফ্লোরে কারি সস পড়ে থাকতে দেখেছেন তারা। এছাড়া ফ্রিজারের নীচে পানি জমে ছিল, ফ্রিজে অতিরিক্ত এবং বিপজ্জনক লাইটের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন ইন্সপেক্টররা। ফ্রিজে রাখা কিং প্রাউনের কন্টেইনার, চিকেন এবং রাইস রাখা ছিল খোলা অবস্থায়। ময়লা আবর্জনামুক্ত কাপড় এবং স্পঞ্জ ছিল সিঙ্কের উপর রাখা। এমন কি ফ্রিজে রাখা কোনো খাবারে লেবেলিংও ছিল না।।