নিউজ ডেস্ক: যদি চুরির সব টাকা ফেরতদানের ঘটনাও ঘটে, তাহলেও বাংলাদেশ সরকার ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনার দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ ম্যানিলা টাইমসকে বৃহস্পতিবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
জন গোমেজ তার সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, আমরা সুপারিশ পেয়েছি যাতে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেই, আমরা তাই একটি স্থানীয় ল’ ফার্ম নিয়োগের বিষয়ে আমাদের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। ওই ল’ ফার্ম দরকারে আমাদের সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবে। তবে দেখতে দিন কি ঘটে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল চুরি যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের সবটাই ফেরত আনতে সক্ষম হওয়া। ফিলিপিনো সরকার যেভাবে সিনেট এবং এন্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) মাধ্যমে বিষয়টি মোকাবিলা করেছে তাতে বাংলাদেশ সরকার সন্তুষ্ট।
আমরা এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের উদ্যোগ গ্রহণ করিনি, আমরা সিনেটের শুনানি শেষ হওয়া এবং এএমএলসি নিজের প্রক্রিয়ায় মামলা দাখিল করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই। এর আগে একটি ফিলিপিনো দৈনিক সম্প্রতি সিনেটের শুনানির কার্যকরতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।
এএমএলসি এখন পর্যন্ত চীনা জাংকেট অপারেটর ক্যাম সিন ‘কিম’ ওয়াং এবং চীনা জাংকেট খেলোয়াড় ইউক্যাং শু সহ আটজনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছে। এন্টি মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক করপোরেশন (আরসিবিসি)-এর জুপিটার ব্রাঞ্চ, যেখানে ৮১ মিলিয়ন ডলার জামানত রাখা হয়েছিল, তার ম্যানেজার মায়া সন্তোস দেগুইতি এবং আরসিবিসির জুপিটার ব্রাঞ্চের মালিকদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ম্যানিলা টাইমস প্রতিবেদন বলেছে, এএমএলসি একটি কোর্ট আদেশ লাভের জন্য একটি সিভিল ফরফিচার বা দেওয়ানি বাজেয়াপ্ত মোকদ্দমা দায়ের করবে। এর ফলে তারা মি. ওয়াং-এর ফেরত দেয়া টাকা বাংলাদেশকে ফেরত দিতে পারবে।
ওয়াং এ পর্যন্ত ৪. ৬ মিলিয়ন ডলার এবং ৩৮ মিলিয়ন পেসো ফেরত দিয়েছে। এছাড়া তিনি আরও ৪৫০ মিলিয়ন পেসো ফেরত প্রদানের অঙ্গীকার করেছেন।
এদিকে সোলায়ারো ক্যাসিনো ১০৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন পেসো এএমএলসিকে ফেরত দানের জন্য আদালতের আদেশের অপেক্ষায় আছে।
রাষ্ট্রদূত গোমেজ বলেছেন, আমাদের যে টাকা খোয়া গেছে, তার সবটাই ফেরত পাওয়ার অধিকার আমাদের আছে।’