শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে পাঁচ শতাধিক অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে বেঁচে ফেরা কয়েকজন। সোমবার মধ্যরাতে যখন তাদের একটি নৌকা থেকে আরেকটিতে স্থানান্তর করা হচ্ছিল তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে মৃতের সংখ্যাটি সঠিক কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি সেই অঞ্চলের কোস্ট গার্ড।
ভূমধ্যসাগরে এসে তাদের আরেকটি বড় নৌযানে সরিয়ে নেবার চেষ্টা করা হয়। যেখানে আগে থেকেই প্রায় ৩০০ যাত্রী বোঝাই ছিল। আর সেসময়ে দূর্ঘটনা ঘটে। জীবিতদের গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কালামাতা থেকে উদ্ধার করা হয়।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও মিশরের অভিবাসী।তারা বিবিসি-কে জানিয়েছে যে, ইটালি যাবার জন্যে অন্তত ২৪০ জন মিলে লিবিয়ার বন্দর শহর তবরুক থেকে যাত্রা শুরু করে।
বেঁচে ফেরা ৪১ যাত্রী জানিয়েছেন, শত শত মানুষ নিয়ে নৌকাটি ডুবে যাওয়ার আগে তাদের আরেকটি নৌকায় স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু যে নৌকায় তারা ছিল, ওই নৌকার পাঁচ শতাধিক লোক সাগরের পানিতে ডুবে মারা গেছে। গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় কালামাত উপকূল থেকে এই ৪১ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয় এবং পরে তাদের আটক করা হয়।
তারা জানান, ডুবে যাওয়া নৌকার অধিকাংশ যাত্রী ছিল আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া, সুদান, সোমালিয়া ও মিশরের। তাঁরা জানিয়েছেন, নৌকাটিতে বেশির ভাগ যাত্রীই ছিলেন পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের। তাঁরা ভূমধ্যসাগর হয়ে ইটালির দিকে যাচ্ছিলেন। এ বছরই লিবিয়া থেকে ইটালি যাবার এই ভয়ঙ্কর সমুদ্রপথ বেছে নিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরো অনেক অভিবাসী।
ভূমধ্যসাগর দিয়ে কয়েক দশক ধরেই এভাবে অভিবাসীরা বিপজ্জনকভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছে। গত বছরের এপ্রিলে এই ভূমধ্যসাগরেই নৌযান ডুবিতে প্রায় ৮০০ অভিবাসীর প্রাণহানি ঘটে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, চলতি বছর এ পর্যন্ত এক লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী ঝুঁকি পূর্ণভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে অন্তত ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলা সোমবার রাতে নৌকাডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে হতাহতের কোনো তথ্য নিশ্চিত করেনি তিনি।