শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: প্রথমবারের মতো তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাড়া দেয়ার কথা জানিয়েছে ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির একটি সংক্ষিপ্ত উপাত্তের বিবরণ থেকে এ খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন দেশের সরকার অনেক সময় ফেসবুকের কাছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট স¤পর্কে তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করে। এ স¤পর্কিত সংক্ষিপ্ত বিবরণ ফেসবুক স্বচ্ছতার স্বার্থে জনসম্মুখে প্রকাশ করে।
সেখানে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ১২টি অনুরোধ পাঠিয়েছে। এসব অনুরোধে মোট ৩১ জন ব্যবহারকারী স¤পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। ফেসবুক জানাচ্ছে, এসব অনুরোধের ১৬.৬৭ শতাংশ গ্রহণ করেছে তারা। সে হিসাবে সরকারের ২টি অনুরোধে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক। এর আগে কখনই তথ্য চেয়ে ফেসবুকের কাছে পাঠানো সরকারের কোন অনুরোধ আমলে নেয়া হয়নি।
তবে ২০১৫ সালের এ মেয়াদকালে সরকারের পাঠানো অনুরোধের সংখ্যা ছিল অন্যবারের চেয়ে অনেক বেশি। ফেসবুকের উপাত্তে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬টি সময়কালের কথা উল্লেখ আছে। আগের ৫ বার সরকার মোট ১৬টি অনুরোধের মাধ্যমে ৩৭টি অ্যাকাউন্ট স¤পর্কে তথ্য চেয়েছিল। অথচ, সর্বশেষ অর্থাৎ ২০১৫ সালের জুলাই-ডিসেম্বরের ৬ষ্ঠ সময়সীমাটিতে সরকার মোট ১২টি অনুরোধের মাধ্যমে ৩১টি অ্যাকাউন্ট স¤পর্কে তথ্য চেয়েছিল। এছাড়া আগের পাঁচটি বার কোন অনুরোধে ফেসবুক সাড়া না দিলেও, এবার দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকার ২০১৫ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝিতে নিরাপত্তার অজুহাতে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়। এরপর পরের মাসে অর্থাৎ ৬ই ডিসেম্বর ফেসবুকের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সরকারের একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বৈঠক শেষে বলেছিলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। এ বৈঠকের দুয়েকদিন পরই বাংলাদেশে পুনরায় ফেসবুক চালু করে দেয়া হয়।
ফেসবুকের এ সংক্ষিপ্ত উপাত্তে আরও বলা হয়, সেবার (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০১৫) বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) অনুরোধের প্রেক্ষিতে ৪টি কনটেন্টে প্রবেশাধিকার বন্ধ করা হয়েছে। এসব কনটেন্ট ধর্ম-অবমাননা স¤পর্কিত স্থানীয় আইন লঙ্ঘণ করে বলে বিটিআরসি অভিযোগ করেছিল।
এর আগে ২০১৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে, বিটিআরসি’র অনুরোধে তিনটি কনটেন্টে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছিল ফেসবুক। তখন বলা হয়, ওই পোস্টগুলোতে রাষ্ট্রের সমালোচনাকে নিষিদ্ধ করে প্রণীত স্থানীয় আইন লঙ্ঘণ হয়েছিল বলে অভিযোগ করে বিটিআরসি।