বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৭:৩৬

দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ সুপারের স্ত্রীকে

দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ সুপারের স্ত্রীকে

শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত পুলিশ সুপার ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন ওরফে মিতু আক্তারকে (৩২) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার সকাল ৬টা ৪০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে নগরীর জিইসি মোড়ে মোটরসাইকেলে আসা তিন দুর্বৃত্ত প্রথমে তাকে মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা মারে। এরপর উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে এবং সবশেষে মাথার বাম পাশে কপালের কাছে গুলি করে। এ সময় সৌভাগ্যবশত মাহির আক্তার নামে ছোট্ট ছেলেটি দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল সংলগ্ন ওআর নিজাম রোড আবাসিক এলাকার ১ নম্বর বিল্ডিং ‘ইক্যুইটি সেন্ট্রিয়াম’ নামের যে অ্যাপার্টমেন্টে বাবুল আক্তারের পরিবার থাকতেন সেখান থেকে ২০০ গজ দূরেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। ওই ভবনের সেভেন ডি অ্যাপার্টমেন্টে বাবুল আক্তারের স্ত্রী, ছেলে মাহির আক্তার ও মেয়ে তাবাসসুম থাকতেন। ছেলে নগরীর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। তাকে স্কুলে পৌঁছে দিতেই বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি।

আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ডা. কাজী ইদ্রিস বলেন, ‘সকালে আমি বাসা থেকে নামছিলাম। দেখি মাহির আক্তার অ্যাপার্টমেন্টের নিচে হাঁপাচ্ছে আর কান্না করছে। মাথায় হাত বুলিয়ে জানতে চাইলাম কী হয়েছে। সে বললো, আমার মাকে মেরে ফেলতেছে। তারপর পড়িমড়ি করে দৌড়ে গেলাম। ততক্ষণে সব শেষ। রক্তাক্ত নিথর দেহটি পড়ে আছে।

হির আক্তার বীভৎস হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য দেখার পর থেকেই স্বাভাবিক কথাবার্তা আর বলছে না। সারাক্ষণ কাঁদছে আর চোখেমুখ হাত দিয়ে ঢেকে রাখছে। তার সঙ্গে কৌশলে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনাটি জানার চেষ্টা করেছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মোক্তার আহমদ।

তিনি বলেন, মাহির আক্তার বলেছে, মায়ের হাত ধরে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়েছিল স্কুলে যাওয়ার জন্যে। এ সময় জিইসি মোড় থেকে গোলপাহাড়মুখী একটি মোটরসাইকেল প্রথমে মাকে ধাক্কা মারে। তখন মা মাটিতে পড়ে যান। এরপর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। সব শেষে গুলি করে। ওই মোটর সাইকেলে তিনজন আরোহী ছিল। এ সময় বাচ্চাটি দৌড়ে আবার বাসার সামনে চলে যায়।

বাবুল আক্তারের ব্যাচমেট র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা এসএম তানভীর আরাফাত ঢাকা থেকে বাংলানিউজকে জানান, স্ত্রীর দুঃসংবাদ শোনার পর থেকে বাবুল আক্তারের ঘন ঘন অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। তারপরও তাকে সান্ত্বনা দিয়ে চট্টগ্রাম পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, জঙ্গি দমনে ভূমিকা রাখার কারণে কোনো জঙ্গি সংগঠন এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি না আমরা তা খতিয়ে দেখছি। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার। জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে তার সাহসী অবদানের কারণে সারাদেশেই তিনি আলোচিত।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025