আকরামুল হুসাইন: লন্ডনে রামাদ্বান উপলক্ষে জমে উঠেছে গ্রোসারী শপগুলো। দোকানে দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। বছরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রামাদ্বান উপলক্ষে মূল্যহ্রাসের সুযোগে অনেক ভোক্তারা প্রয়োজনীয় অনেক কিছু কিনে নিচ্ছেন রমাদ্বানের জন্য।
সোমবার থেকে মুসলমানদের সবচেয়ে মহিমান্বিত মাস রামাদ্বান শুরু হয়েছে। আর রামাদ্বানকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে ব্যবসা প্রতিষ্টানগুলো। লন্ডনের বিশেষ করে বাঙালী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্টান ঘুরে দেখা গেছে দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। অনেকেই রামাদ্বানের ইফতার ও সেহরীর কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় পন্য কিনে নিচ্ছেন।
রামাদ্বান উপলক্ষে বিশেষ অফার থাকে সব সময়ই। আর তাই প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মূল্যহ্রাসে প্রয়োজনীয় পন্য কিনছেন ভোক্তারা। প্রতি বছর রামাদ্বান উপলক্ষে ব্যবসা প্রতিষ্টানের বিক্রি বেড়ে যায়। বছরের অন্যান্য মাসের চেয়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ভাগ বিক্রি বেড়ে যায় বলে জানান বাংলা টাউন ক্যাশ এন্ড কারীর ডাইরেক্টর ও বিশিস্ট ব্যবসায়ী রফিক হায়দার। তিনি আরো বলেন সারা বছরে আমরা কাস্টমারদের যথাযথ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি আর রামাদ্বানে কাস্টমাররা প্রতিদান স্বরুপ আমাদের এখানে বাজার করতে আসেন। এজন্য বাংলা টাউনের পক্ষ থেকে সকল কাস্টমারদের রামাদ্বান মোবারক।
এদিকে তাজ স্টোরের ডাইরেক্টর আব্দুল কাইয়্যূম খালিক (জামাল) জানান বছরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সময় হচ্ছে রামাদ্বানের এক সপ্তাহ্ আগের ও পরের সময়। আর তাই ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে সকল পণ্যের সমাহার রয়েছে তাজ স্টোরে। তবে রামাদ্বানে হালাল গোশত কেনার ক্ষেতে দাম কম বা বেশী নয় কে কিভাবে কোন ধরনের হালাল স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কিনছেন কিনা সে বিষয়টি তদারকি করার পরামর্শ দেন।
শ্যাডওয়েলের উঠনি মাকেটের প্রিয় বাজারে গিয়ে দেখা গেল কাস্টমারদের একই ধরনের ভিড়। উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্টানের পরিচালক সৈয়দ এহসান ও মুজিব মিয়া জানান রামাদ্বান উপলক্ষে কাস্টমারদের উপস্তিতি বছরের অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় ২০ ভাগ বেশী। ইফতারের সময় খেজুর খাওয়া সুন্নত। আর মজাদার সব ইফতারী আইটেম তৈরীতে অনেকেই কিনছেন ছানা, ডাল, ফলমূল সহ গোশতা বা শাক্ সবজি।
রামাদ্বান মাসে ইবাদাত বন্দেগী করে মুসলানরা আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন এ মাসের অন্যতম সময় হচ্ছে ইফতার বা সেহরী খাবার। আর তাই এতে কোন কার্পন্য রাখতে চান না ধর্মপ্রান মুসলমানরা। তবে ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে পরিশুদ্বি অর্জন করাটা সকল মুসলমানদের মূল লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন।