শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ভারতের মিরাটে এসএইচকেএম গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণ করা হয়েছে এক রোগিনীকে। এ জন্য দায়ী করা হয়েছে এক ওয়ার্ডবয় ও একজন প্রহরীকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এতে বলা হয়েছে ২২ বছর বয়সী ওই যুবতী বিষন্নতার জন্য চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ওই হাসপাতালে। অভিযুক্তরা তাকে একটি ফাঁকা রুমে নিয়ে তার মুখের ভিতর কাপড় গুঁজে দেয়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা ঘটেছে সোমবার দিনশেষে। ধর্ষকদের কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয় নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই যুবতী হাসপাতালটির পঞ্চম তলায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। সোমবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে তাকে ডেকে নেয় ওই ওয়ার্ডবয়। তিনি ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে আসেন এবং লাউঞ্জ ধরে হাঁটতে শুরু করেন। এ সময় ওয়ার্ডবয় তাকে জড়িয়ে ধরে একটি খালি কক্ষে নিয়ে যায়। তাদেরকে অনুসরণ করছিল কক্ষের পাশেই থাকা এক নিরাপত্তা প্রহরী। সেও ঢুকে পড়ে ওই কক্ষে এবং ওই যুবতীর মুখের ভিতর কাপড় গুঁজে দেয়।
তারপর দু’জনে মিলে তাকে ধর্ষণ করে। রাত একটার পরে এ বিষয়ে হাসপাতাল থেকে পুলিশে ফোন যায়। তার আগে দু’ঘন্টা ধরে ওই যুবতীর ওপর চলে নারকীয়তা। আশপাশেই ছিলেন ওই যুবতীর দুলাভাই। তিনি তাকে খুঁজতে বের হন। দেখতে পান তার শ্যালিকা ওই ফাঁকা কক্ষের বাইরে পড়ে আছেন। ততক্ষণে ওয়ার্ডবয় ও ওই প্রহরী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে।
পুলিশ বলেছে, তারা ওই ওয়ার্ডবয়কে সনাক্ত করতে পেরেছে। তাকে ও প্রহরীকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালানো হবে। এ দু’জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ফৌজদারি ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। ধর্ষিতা তিন সন্তানের মা। তিনি গত ২রা জুন ভর্তি হন ওই হাসপাতালে।
পুলিশের কাছে দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, নারীদের জেনারেল ওয়ার্ডে তিনি গভীরঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। তখন ওয়ার্ডবয় তাকে ডেকে তোলে। সে বলে যে, তার ছেলে কাঁদছে। তার সন্তানকে দেখাশোনা করার জন্য তার আত্মীয়রা তাকে ডাকছেন।