শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: জঙ্গীরা নয়, ফুটবল সমর্থকরাই ফ্রান্সের রাস্তায় তুলকালাম বাঁধালো। দুদিন আগেই মার্সেই শহরে ইংলিশ ফুটবল সমর্থকদের সঙ্গে ফরাসি পুলিশের এক চোট যুদ্ধ হয়ে যায়। শনিবার রাতে রাশিয়ার সঙ্গে ড্র করার পর ফের সংঘর্ষে মেতে ওঠে তারা। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ড ও রাশিয়া ১-১ গোলে ড্র করে। এটিই দু’দলের প্রথম খেলা। ফ্রান্সের এ বন্দর নগরীতে মারমুখি ফুটবল সমর্থকদের ঠেকাতে পুলিশকে কাঁদুনে গ্রাস ও জল কামান ব্যববহার করতে হয়। বিবিসি জানায়, স্তাদ ভেলদ্রোমে প্রথমে রুম সমর্থকরা চড়াও হয় ইংলিশ সমর্থকদের ওপর। এরপর পাল্টা প্রতিরোধে বেড়ে যায় উত্তেজনা। অথচ পুরো খেলায় মাঠজুড়ে ছিল শান্ত পরিবেশ। শেষ পাঁচ মিনিটে শুরু হয় গন্ডগোল। শেষ মিনিটে সমতাসূচক গোল দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়ান শিবিরে দুটি আগুনের ফুলকি জালানোর পর পাল্টে যায় পরিবেশ। মারামরিতে পাঁচজন জখম হয়েছে বলে ফরাসি পুলিশ জানায়। এছাড়া ঘটনার পরে পুলিশ ছয় জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় পুলশ কর্মকর্তা জানান, রুশ-ইংলিশ মারামারিতে ফরাসি সমর্থকরাও জড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৃটিশ সাংবাদিকরা এ ঘটনার জন্য রুশ সমর্থকদেরই দায়ী করেছেন। খেলার ৭৩ মিনিটে ডায়ারের গোলে ইংল্যান্ড এগিয়ে যায়। আর যোগ হওয়া সময়ে বেরেজুলেস্কি গোল করে রাশিয়ার হার ঠেকান।

ওদিকে দিনের অপরদুই খেলায় জয়ী হয়েছে ওয়েলস ও সুইজারল্যান্ড। অভিষেক ম্যাচে ওয়েলস ২-১ গোল হারায় স্লোভাকিয়াকে। যথারীতি আলোড়ন জাগানো গ্যারেথ বেল খেলার ১০ মিনিটের সময় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। অবশ্য ৬০ মিনিটের সময় সমতা ফেরায় স্লোভাকরা। পরে ৮১ মিনিটের সময় জয়সূচক গোল করে ওয়েলস। আর অভিষিক্ত আলবেনিয়াকে ১-০ গোলে হারায় সুইজারল্যান্ড। খেলার পাঁচ মিনিটের সময় স্কারের গোলে এগিয়ে যায় সুইসরা। এরপর খেলায় আর গোল হয়নি। বরং ৩৬ মিনিটের পর থেকে তাদের খেলতে হয় ১০ জনে। দুই হলুদ কার্ডে তাদের কানা বস্কিৃত হলে ইউরোতে প্রথম খেলায় হার নিয়ে ফিরতে হয় ছোট্ট দেশটিকে।