শীর্ষবিন্দু নিউজ: সাংবাদিক পেটানোর মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সরকার দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। পটুয়াখালীর এই সাংসদ বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করার পর মহানগর হাকিম এস এম আশিকুর রহমান এই আদেশ দেন।
মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, বিচারক কারাবিধি অনুযায়ী সাংসদ রনিকে চিকিৎসাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। সাংসদ হিসাবে তিনি কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পাবেন। সাংসদ রনিকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর আগে আদালতে রনির পক্ষে শুনানি করেন কবির হোসাইন। রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের কোনো আবেদন পুলিশের পক্ষ থেকে করা না হলেও তার জামিনের বিরোধিতা করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন বাদির আইনজীবীরা।
ক্ষমতাসীন দলের এই সাংসদ রোববার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেও টেলিফোনে হুমকির অভিযোগে ইনডিপেন্ডেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি জিডি করার পর বুধবার জামিন বাতিল করে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় আদালত। এর দুই ঘণ্টার মাথায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে পটুয়াখালীর এই সাংসদকে গ্রেপ্তার করে। রাতে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রাখার পর বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতে পুলিশের গাড়ি থেকে রনিকে নামানোর সময়ে আশেপাশের মানুষ সেখানে ভিড় করে এবং কয়েকজনকে এই সাংসদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দেখা যায়। আদালতের আদেশের পর রনিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময়ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে শ্লোগান দিতে দেখা যায় একদল লোককে।
প্রসঙ্গত: অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহের জন্য শনিবার পল্টনে রনির কার্যালয়ে গিয়ে মারধরের শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিন সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুল। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, সংসদ সদস্য রনি নিজেই প্রতিবেদক ও ক্যামেরাপার্সনের ওপর চড়াও হয়ে লাথি মারছেন। ঘটনার পর ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ রনিকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করে। ওই দুই সংবাদিকসহ ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অন্যতম মালিক ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানকে আসামি করে রনিও পাল্টা মামলা করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন গোলাম মাওলা রনি।
Leave a Reply