শীর্ষবিন্দু সিলেট: সিলেটের জিন্দাবাজারের নেহার মার্কেট নামক স্বর্ণের মার্কেটে হাতবোমা ফাটিয়ে ডাকাতি ও নিরাপত্তারক্ষী নিহত হওয়ার ঘটনায় সব বিপণীবিতান ও দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট করছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা সড়ক বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখালেও ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জোহরের পর নিহত নিরাপত্তা প্রহরী বাদশা মিয়ার জানাজা শেষে অবরোধ তুলে নেয়া হবে।
ডাকাতির জন্য ব্যবসায়ীরা পুলিশের গাফিলতি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়ী করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধারের সময় বেঁধে দিয়েছেন। তা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ব্যবসায়ীদের মিছিল থেকে জিন্দাবাজার এলাকায় কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
বুধবার রাত ৮টার দিকে নেহার মার্কেট হাতবোমা ফাটিয়ে থেকে কয়েক কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতের হামলায় নিহত হন নিরাপত্তা রক্ষী বাদশা। ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধারের দাবিতে জেলা জুয়েলার্স সমিতি রাতেই ধর্মঘট ডাকে। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেটের সব গয়নার দোকান বন্ধ রাখা হয়। পরে অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও এ আন্দোলনে যোগ দেন এবং শহরের সব বিপণীবিতান ও দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার এজাজ আহমদ বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। ডাকাতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ৮/১০ জন যুবক মার্কেটের সামনে এসে কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ও কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এরপর তারা মার্কেটের সামনের দিকের আল বারাকা জুয়েলার্স, কমলা ভাণ্ডার জুয়েলার্স এবং পরমা জুয়েলার্সে ঢুকে দোকান ভাংচুর এবং গয়না লুট করে।
Leave a Reply