শীর্ষবিন্দু নিউজ: দশম সংসদ নির্বাচনে মোবাইল ফোনের এসএমএস এর মাধ্যমে ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্র জানিয়ে দেবে নির্বাচন কমিশন। যারা ভোটার হওয়ার সময় নির্ধারিত আবেদনপত্রে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন, নির্বাচনের আগে আগে সে নম্বরেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোট সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। ভোটারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ গণমাধ্যমের কর্মীদের কাছে একথা জানান।
নির্বাচন কমিশনার শাহওনেওয়াজ বলেন, তারা ভোটের দিন মোবাইলে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লিখে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে এসএমএস করলে সঙ্গে সঙ্গে ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্র জানিয়ে দেবে কমিশন। এছাড়া ভোটার হওয়ার সময় যাদের মোবাইল নম্বর ছিল না, বা আবেদনে উল্লেখ করেননি, তাদের জন্যও সুযোগ রাখছে ইসি। এর আগে সিটি কর্পোরেশন ও পৌর নির্বাচন এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার নম্বর ও কেন্দ্র জানার ব্যবস্থা করে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জানান, এবার ভোটার তালিকায় মৃত ও স্থানান্তরিত ভোটারের ক্রম উল্লেখ থাকবে। বর্তমানে দেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি। তবে এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা কতো, সে তথ্য কমিশনের কাছে নেই। সর্বশেষ হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার ৯ কোটি ২১ লাখ ২৯ হাজার ৮৫২ জন। এর মধ্যে ৪ কোটি ৬২ লাখ ১ হাজার ৮৭১ জন পুরুষ এবং ৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৮১ জন নারী। এবার বড় পরিসরে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য জানানোর এই উদ্যোগ নিচ্ছেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন ইসি।
আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনের কথা রয়েছে। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার কাজ শুরু হয়। ২০০৮ সালের তালিকা হওয়ার পর সবার ভোটার ক্রম আলাদাভাবে রয়েছে। স্থানান্তরিত বা মৃতদের নাম ভোটারক্রম থেকে বাদ দিতে গেলে অগোছালো পরিস্থিতি তৈরি হবে। এক্ষেত্রে তালিকায় নাম থাকবে না তাদের, শুধু ভোটারক্রমের পাশে মৃত বা স্থানান্তরিত এলাকার নাম উল্লেখ থাকবে। এবার হালনাগাদের সময় মৃত্যু হওয়া ৭ লাখ ৪১ হাজার ৬৯ জনের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এতে কেউ জাল ভোট দেয়া বা কারচুপি করার সুযোগ পাবে না বলেও জানান তিনি।
ইসি‘র দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, দশম সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষে (গোপনীয় কক্ষ) প্রচলিত কাপড়ের পর্দা ব্যবহার না করে বিশেষ ভোটার স্ক্রিন ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ভোটকক্ষে বিশেষ ধরনের ফোল্ডিং বোর্ড সরবরাহের জন্য ইতোমধ্যে একটি দাতাসংস্থার প্রস্তাব এসেছে। কমিশনের অনুমোদন পেলে ব্যালট পেপারে সিল মারার কক্ষে কাপড়ের পর্দা দেয়ার প্রচলিত রীতির অবসান ঘটবে।