সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার জন্য সরকার না বিদ্রোহীপক্ষ দায়ী তা নিয়ে প্রকাশ্যেই বিরোধ দেখা গেছে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যোহ ফ্যাবিউস এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে। মস্কোয় বৈঠকের পর দু’জনের বক্তব্যে এ বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
জাতিসংঘ তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সিরিয়ায় ২১ অগাস্টের সারিন গ্যাস হামলার জন্য সন্দেহাতীতভাবে সরকারকেই দায়ী করেন ফ্যাবিউস। সারিন গ্যাস ভরা রকেট নিক্ষেপ করে হামলাটি চালানো হয়েছে বলে জাতিসংঘ তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। হামলাটিকে ঘৃণ্য অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
সব তথ্যপ্রমাণ ঠিকমত বিচার-বিশ্লেষণ না করেই সিরিয়ার বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে না উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন, আমরা ২১ অগাস্টের ঘটনার গুণগতমানসম্পন্ন বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন চাই। কারণ, ঘটনাটি বিদ্রোহী পক্ষের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড এটি বিশ্বাস করার জোরালো ভিত্তি আছে… কিন্তু সত্যটা প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার।
মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে ফ্যাবিউস বলেছেন, যে পরিমাণ সারিন গ্যাস ব্যবহার হয়েছে এবং তা যে প্রযুক্তি দিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে সেটিসহ অন্য অনেক বিষয়েই এটি স্পষ্ট যে, এর পেছনে আছে আসাদ সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর জাতিসংঘ প্রস্তাবনা পাসের জন্য রাশিয়াকে চাপ দিচ্ছে ফ্রান্স। অন্যদিকে, এ হামলার পেছনে বিদ্রোহীরা জড়িত থাকার আশঙ্কা এখনো উড়িয়ে দেয়া যায়না বলে জানান ল্যাভরভ।
রাসায়নিক অস্ত্র হামলার বিষয়ে রাশিয়ার কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর তদন্ত প্রতিবেদনে নেই বলেও জানান ল্যাভরভ। এর মধ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক অস্ত্রগুলো কারখানা নাকি বাড়িতে তৈরি করা হয়েছে সে প্রশ্নটি রয়েছে। এসব প্রশ্নের উত্তর দাবি করা ছাড়াও ল্যাভরভ সিরিয়ার বিরুদ্ধে আহুত কোনো জাতিসংঘ প্রস্তাবনায় রাসায়নিক অস্ত্র সমর্পণের শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে সামরিক হামলার হুমকি রাখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন।