রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৫

উপহারে আশীর্বাদ

মরিয়ম সেঁজুতি: বিয়ের নিমন্ত্রণে যাবেন। সব ঠিকঠাক। উপহার কী দেবেন? আগে বিয়েতে কাঁসার তৈজসপত্র, মেলামাইন, কাঁচের বাসনকোসন কিংবা ডিনারসেট দেওয়ার প্রচলন বেশি ছিল। নগদ অর্থও দিতেন কেউ কেউ। এ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। বলেন ডিজাইনার চন্দ্র শেখর সাহা।

তিনি আরও জানান, আসলে এ পরিবর্তন ব্যক্তি পর্যায়ে হয়েছে। আগে মানুষ এভাবে ভাবতে পারত না। কাছের মানুষ হলে তাকে জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন। সবাই মিলে উপহার দিলে বড় বাজেটের জিনিস দিতে পারবেন। বিয়ের উপহারে দেখা যায় একই জিনিস অনেক পাওয়া হয়। বেশির ভাগই কাজেও লাগে না। তাই বর-কনেকে জিজ্ঞাসা করে নিলে প্রয়োজনীয় জিনিসটি কিনতে পারবেন। অনেকে মিলে দিলে ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন দেওয়া যায়। সামর্থ্য থাকলে দেশের মধ্যকার কোনো পর্যটন এলাকায় মধুচন্দ্রিমার প্যাকেজ উপহার দিতে পারেন। বন্ধুরা মিলে নতুন দম্পতিকে দিতে পারেন প্লেনের টিকিটও।

এ ছাড়া আরেকটা পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। বিয়েতে দেশি পণ্য দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। হতে পারে তা মাটির কোনো ঘর সাজানোর সামগ্রী, নকশিকাঁথা, নানান শৈল্পিক কারুকাজের ফটোফ্রেম। এতে অবশ্য তার বিশেষ কোনো মুহূর্তের ছবি বড় করেও দিতে পারেন, যা দেখে সে চমকে যাবে। আগে প্রাইজবন্ড দেওয়ার প্রচলন ছিল। এখন তেমন দেখা যায় না। এর বদলে গিফট ভাউচার দেওয়া হয়, যাতে পরে নিজের পছন্দমতো জিনিস কিনে নিতে পারেন।

পোশাকের মধ্যে বিয়ের কনেকে জামদানি, মসলিন শাড়ি দেওয়া যেতে পারে। যদি পছন্দ সম্পর্কে জানেন তাহলে তো কথাই নেই। না জানলে একটু কৌশলে জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন। ফলে যাকে দিচ্ছেন সে খুশি হবে, আপনিও তৃপ্তি পাবেন। উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে এই স্বাধীনতা বোধটাই আসল কথা। সোনার গয়না দেওয়ার ওই চাপ থেকে একটু হলেও বেরিয়ে আসতে পারবেন।

যাত্রার ধানমণ্ডি শাখার আউটলেট ব্যবস্থাপক মাহমুদ হোসেন জানান, “বিয়ের উপহার হিসেবে গৃহস্থালি পণ্য বেশি বিক্রি হয়। বিছানার চাদর, কুশন কভার, ছোট বালিশের কভার, টেবিলের কভারসহ রানার, ন্যাপকিন সেটও বিয়েতে উপহার হিসেবে দেওয়া যায়। এর বাইরে বিভিন্ন ধরনের ল্যাম্পশেইড, মোমদানি, শতরঞ্জির চাহিদা রয়েছে। কেউ কেউ মাটির বাসনকোসনের সেট, নানান রকমের ট্রে, কাঠের চামচের সেটও দেন। সঙ্গে ঘর সাজানোর সামগ্রী তো রয়েছেই।”

একটু অন্য রকম উপহার দিতে চাইলে প্রিয় কোনো শিল্পীর আঁকা চিত্রকর্ম দিতে পারেন। এ ছাড়া যাত্রা, আড়ং, রংসহ বিভিন্ন বুটিকের দোকানে গিফট ভাউচার কার্ড কিনতে পাওয়া যায়। যাত্রায় পাবেন ৫শ’ ও ১ হাজার টাকা সমমূল্যের কার্ড। এর মেয়াদ থাকে ছয় মাস। আড়ংয়ে ২শ থেকে ৫শ’ টাকা সমমূল্যের কার্ড পাবেন। এর মেয়াদ থাকে এক বছর। রংয়ের রয়েছে ৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকা সমমূল্যের গিফট ভাউচার।

ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মধ্যে মোবাইল, ছোট ডিজিটাল ক্যামেরা, নেট বুক এসবও দিয়ে থাকেন অনেকে। আধুনিক যুগে যা সবারই কাজে লাগে। এ ছাড়া গয়না যদি দিতেই চান তাহলে গোল্ড প্লেটেড গয়না, রুপার গয়না কিংবা দামি কোনো মুক্তার সেট দিতে পারেন। উপহার যা-ই হোক না কেনো, তাতে যেন আন্তরিকতা আর ভালোবাসার ছোঁয়া থাকে।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025