শীর্ষবিন্দু নিউজ: উপলক্ষ যেটাই হোক না, কেন নিখুঁত আর জমকালো পোশাকে সজ্জিত হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ নাম-ডাক আছে তার। এবার হিন্দু ধর্মের অন্যতম উৎসব দিওয়ালিতে হাজির হলেন শাড়ি পরে। সোনালি পাড়ের লালচে বাদামি রঙের শাড়িতে অন্যরকম দেখা গেল। তিনি হলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সহধর্মিণী সামান্থা ক্যামেরন।
এ বছরের দিওয়ালিতে সামান্থা ক্যামেরনকে ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় শাড়িতে দেখা গেলেও ডেভিড ক্যামেরন স্যুট-টাই পরেই এসেছিলেন। নিসডেন মন্দিরে পৌঁছানোর পর ক্যামেরন দম্পতিকে ফুলের মালা এবং প্রথাগত তিলক দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। ধর্মীয় রীতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে মন্দিরে তারা তাদের জুতা খুলে প্রবেশ করেন। তাদের উভয়ের হাতে বন্ধুত্বের প্রতীকী স্মারক হিসেবে রাখী পরিয়ে দেয়া হয়।
আলোর উৎসবখ্যাত দিওয়ালি উদযাপন করতে লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমের নিসডেনে অবস্থিত স্বামীনারায়ণ মন্দিরে হাজির হন ক্যামেরন দম্পতি। ভারতের বাইরে এটাই হিন্দু ধর্মের সব থেকে বড় মন্দির। ১৯৯৫ সালে স্থাপিত এ মন্দিরে প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ দর্শনার্থী পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে হাজির হন। বিশ্বব্যাপী হিন্দু, জৈন ও শিখ সমপ্রদায় প্রতি বছর দিওয়ালি পালন করে থাকে। উৎসবটি পাঁচ দিন ধরে পালিত হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানের মধ্যে অন্তরঙ্গভাবে মিশে যান ক্যামেরুন দম্পতি। তারা হিন্দু পরিবার ও তাদের প্রথাগত আদর্শের প্রশংসা করেন। বৃটিশ জীবনধারাকে আরও রূপায়িত করতে বেশি করে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য ডেভিড ক্যামেরন স্বদেশের লাখ লাখ হিন্দুদের প্রতি আহ্বান জানান। ভারতে শিগগিরই আবার সফরে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
হিন্দুদের জন্য বছরে এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব হিসেবে বিবেচিত। অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয় উদযাপন করতে বাতি আর আতশবাজিতে রঙিন উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মণ্ডা-মিঠাই আদান-প্রদান হয় পরিবার স্বজনদের মধ্যে। সবাই পরে নতুন পোশাক। বাড়িতে বাড়িতে বাতি জ্বলতে থাকে রাতভর। দেবী লক্ষ্মীকে স্বাগত জানাতে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়ে ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন।