সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৮

ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধে ত্রিপোলিতে নিহতের সংখ্যা ৩২ জন

ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধে ত্রিপোলিতে নিহতের সংখ্যা ৩২ জন

শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে বেসামরিক একটি বাহিনীর (মিলিশিয়া) সদস্যদের সঙ্গে সশস্ত্র অধিবাসীদের বন্দুক যুদ্ধে অন্তত ৩২ জন নিহত ও প্রায় ৪শ জন আহত হয়েছে। সাবেক একনায়ক মুয়াম্মম গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এটি ত্রিপোলিতে ঘটা অন্যতম ভয়াবহ লড়াই। শুক্রবার লিবিয়ার মিসরাতা শহর থেকে আগত বেসামরিক বাহিনী ঘারঘুর বিগ্রেডকে ত্রিপোলি থেকে বহিষ্কারের দাবীতে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংঘর্ষে অন্তত ৩২ জন নিহত ও ৩শ ৯১ জন আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের উপর ঘারঘুর বিগ্রেডের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলি জেইদান। কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই সব বেসামরিক বাহিনীকে রাজধানী ত্রিপোলি ছাড়তে হবে বলে দাবী জানিয়েছেন তিনি। তবে সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনীর ভূমিকাই বলে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অনুগত এই বাহিনীর ক্ষমতা কতটুকু। গত অক্টোবরে বেসামরিক একটি বাহিনীর হাতে খোদ প্রধানমন্ত্রী জেইদানই অপহৃত হয়েছিলেন।

ত্রিপোলির বিভিন্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিদ্বন্দ্বি বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিল ঘারঘুর বিগ্রেড। এদের আধিপত্য থেকে মুক্তি পেতে ত্রিপোলির প্রায় ৫শ বাসিন্দা বিগ্রেডটির ঘাঁটির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এরই এক পর্যায়ে ঘারঘুর বিগ্রেডের ভিতর থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে বিমান বিধ্বংসী কামান থেকে গোলা বর্ষণ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা তখন আমরা সশস্ত্র মিলিশিয়াদের চাই না বলে শ্লোগান দিচ্ছিল। বিক্ষোভকারীরা, যাদের অনেকের হাতেই সাদা পতাকা ছিল, আক্রমেণর মুখে পালিয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফিরে আসে, আর ফিরে এসেই বিগ্রেডে হামালা চালায়। এরপর দুপক্ষের মধ্যে বন্দুক লড়াই শুরু হয়।

এ সময় কয়েকটি ট্রাকে করে কয়েক ডজন সেনা সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারা দুপক্ষকে লড়াই থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলের আশপাশের রাস্তাগুলো বন্ধ করে সংঘর্ষে আরো মানুষের জড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করে। সংঘর্ষ কবলিত ঘারঘুর এলাকাটি থেকে ঘন ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। এক সময় এলাকাটিতে গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা বসবাস করতো। লড়াইয়ে রকেট চালিত গ্রেনেডও ব্যবহার করা হয়। শনিবার ভোরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত ছিল।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025