তীব্র গরমের এ সময়ে ডাব খাওয়ার স্বাদ থাকলেও যেন সাধ্যে কুলাতে পারেন না। ডাবের বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী, চাইলেও প্রতিদিন ডাব কিনে পরিবারের সবার খাওয়া অসম্ভব।
তাই তো! যদি এমন আর্থিক সমস্যায় থাকেন তাহলে আজকের আয়োজন আপনারই জন্য। ডাবের পানি গরমের সময় শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।
কিন্তু পরিবারের সবার জন্য ব্যয়বহুল এ ফলটি যেন নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হয়। একবার ভাবুন, তাই বলে কি, ডাবের পানির পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হবেন আপনি?অধরাই থেকে যাবে ডাবের পানির পুষ্টিগুণ?
এ প্রসঙ্গে সমাধান দিয়েছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ। তিনি জানান, দামী ডাবের পানিতে যে পুষ্টিগুণ তার প্রায় সবই পেতে পারেন সস্তা কিছু পানীয়তে।
পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার বলেন, ডাবের পানির বিকল্প হিসেবে স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া শসার রস, লেবুর রস, তরমুজের রসও ডাবের পানির পুষ্টিগুণের প্রায় কাছাকাছি অবস্থান করে।
তাই আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন এবং ফল কেনার বাজেট সংকটে থাকেন তাহলে সস্তা এসব পানীয়তে ভরসা রাখুন।
একটি মাঝারি আকারের ডাব স্থান ভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আপনার পরিবারের সদস্য যদি চার জন হয় তবে সবার জন্য ১ গ্লাস ডাবের পানি নিশ্চিত করতে আপনার চারটি ডাব কিনতে হবে। যার খরচ হবে ৬০০ থেকে ৮০০টাকা।
লেবুর রস: ডাবের পেছনে এত টাকা খরচ না করে সস্তায় যদি প্রায় সমমানের পুষ্টিগুণ চান তবে বেছে নিন লেবুর রস। ৪ সদস্যের জন্য ৪টি লেবু কিনে ৪ গ্লাস শরবত তৈরি করুন। বাজারে লেবুর হালি ২০ টাকা।
শসার রস: চার গ্লাস শসার রস নিশ্চিত করতে ১ কেজি শসাই যথেষ্ট। বাজারে বর্তমানে শসার মূল্য সর্বোচ্চ ৪০ টাকা।
খাবার স্যালাইন: ডাবের পানির ভালো বিকল্প খাবার স্যালাইন। বাজার থেকে ৪ প্যাকেট ওরস্যালাইন কেনার খরচ পড়বে মাত্র ৪০ টাকা।
তরমুজের রস: তরমুজের নতুন জাত কারিশমা। বারোমাসী তরমুজ কারিশমা সারাবছরই বাজারে পাওয়া যায়। এর কেজি বর্তমানে ৭০ টাকা। ২ থেকে আড়াই কেজির একটি তরমুজের দাম পড়বে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। যা পরিবারের সব সদস্যের চাহিদা মেটাতে পারে।
তাই আর্থিক অসঙ্গতির কারণে যদি ডাবের পানি নাই খেতে পারেন তাহলে দামে কম মানে ভালো এসব পানীয় নিয়মিত ডায়েট লিস্টে রাখুন। গরমে নিজ ও পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন।
Leave a Reply