রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০৫

গাজায় যুদ্ধবিরতি রবিবার থেকে চুক্তি কার্যকর

গাজায় যুদ্ধবিরতি রবিবার থেকে চুক্তি কার্যকর

ইসরায়েলের সরকার গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তি অনুমোদন করেছে। রবিবার এই চুক্তি কার্যকর হবে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, দীর্ঘ আলোচনার পর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা এই চুক্তি অনুমোদন করে। দুজন কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রী এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই চুক্তি যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। মধ্যস্থতাকারী কাতার, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসর চুক্তিটি ঘোষণা করার দুই দিন পর ইসরায়েল ও হামাস চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত করে।

প্রথম পর্যায়ে, হামাসের কাছে থাকা ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে আসবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা বাড়ি ফেরার সুযোগ পাবেন।

প্রতিদিন শত শত ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি, ইসরায়েলের সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা হবে। তৃতীয় ধাপে গাজার পুনর্গঠন এবং জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত দেওয়া হবে।

কাতারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের মধ্যে নারী, শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিরা থাকবেন।

চুক্তি নিয়ে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় বিভাজন দেখা দিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভীর এই চুক্তিকে ‘ভয়ানক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের মুক্তি দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার দল চুক্তি অনুমোদিত হলে সরকার থেকে বেরিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়।

অপরদিকে, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মট্রিচ বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষে যুদ্ধ পুনরায় শুরু না হলে তার দলও সরকার ত্যাগ করবে।

হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে গাজায় ৪৬ হাজার ৮৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য মিসরের রাজধানী কায়রোতে একটি যৌথ কার্যক্রম কক্ষ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

এই চুক্তি নিয়ে এক মায়ের মন্তব্য, ৪৬৯ দিন ধরে আমাদের প্রিয়জনরা জিম্মি। এখন আমাদের আশা জাগছে। আমরা চাই সবাই নিরাপদে ঘরে ফিরে আসুক এবং যুদ্ধ শেষ হোক।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024