শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: আজব এক ঘটনা ঘটে গেলো যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের টাম্পা এলাকার ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে। গ্যাব্রিয়েল ইউরেনা নামে এক ব্যক্তি একটি সাইনবোর্ড হাতে ধরে ছিলেন। তাতে লেখা ছিল, আমি নারীদের মারধর করি।
আমি যদি ঘৃণার পাত্র হয়ে থাকি, তবে জোরে হর্ন বাজান। নিজের কাজে অনুতপ্ত হয়ে নিজে এভাবে জনসমক্ষে দোষ স্বীকার করার ঘটনা বিরল। কিন্তু আসল ঘটনাটা মোটেও সেরকম কিছু নয়! ওই ব্যক্তিকে বাধ্য হয়েই রাস্তার মোড়ে বসতে হয়েছিল।
গ্রেপ্তার এড়াতে এর বিকল্প কোন পথ খোলা ছিল না ইউরেনার সামনে। অ্যালিসিয়া হেসলার নামে এক নারী তার বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন। তিনিই দুটি পছন্দের মধ্য থেকে একটি বেছে নিতে বলেছিলেন ওই ব্যক্তিকে। হয় তাকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করতে হবে, অথবা রাস্তার মোড়ে হাতে আমি নারীদের মারধর করি… লেখা সাইনবোর্ড নিয়ে ৮ ঘণ্টা বসে থাকতে হবে। ঘটনার শুরু গত সপ্তাহের শেষদিকে। হেসলারের দুই পুরুষ বন্ধু ইউরেনাকে তাদের সঙ্গে নাইট-ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে ফেরার পথে সে হেসলারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করে। হেসলার তাতে রাজি না হয়ে ইউরেনাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় ।
কিন্তু তাকে নিবৃত্ত করা যায়নি। সে আবারও ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করে। ইউরেনার গালে চড় মারতে বাধ্য হয় হেসলার। পরে ব্যর্থ হয়ে হেসলারকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে সে। পরের দিন যখন পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা হলো, সেদিন আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন হেসলার। হেসলার দাবি করেন, ইউরেনা নামের ওই ব্যক্তি প্রচণ্ড মারধর করলে তার নাক ভেঙে যায় ও মাথায় আঘাত পান তিনি। হেসলার পরে গ্যাব্রিয়েল ইউরেনা নামের ওই ব্যক্তিকে ফেসবুকে খুঁজে পান ও তার সামনে দুটি পথ বাতলে দেন, যার একটি বেছে নেয় ওই ব্যক্তি। এদিকে ইউরেনা হাতে সাইনবোর্ড নিয়ে সড়কের মোড়ে ৮ ঘণ্টা বসে থাকার পর অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন হেসলার।