রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৭

যখন বিয়ে করছেন দ্বিতীয় বার…

যখন বিয়ে করছেন দ্বিতীয় বার…

অনলাইন ডেস্ক:

জীবনের নিয়মেই মানুষ বিয়ে করে। ডিভোর্স কিংবা স্বামী/স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে কখনও কখনও কাউকে কাউকে একাধিকবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। দ্বিতীয়বার বিয়েটা ঠিক প্রথমবারের মতো হয় না। বিশেষ করে যারা ডিভোর্সি তাদেরকে অনেক ভাবনা-চিন্তার পর জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে হয়। আর এই অধ্যায়ে ধীরস্থির ও কৌশলী না হলে মুখোমুখি হতে হয় নানা রকম সমস্যার। তাই দ্বিতীয়বার বিয়ের পর কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা অতি জরুরি।

নমনীয় ও সহনশীল হন

আপনার সঙ্গী (স্বামী বা স্ত্রী), সংসার ও পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি নমনীয় ও সহনশীল হন। যে কোনো কাজ বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে চিন্তা করুন। আপনার আচার-কথাবার্তা যেন কোনোভাবেই কারো ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

পূর্বের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করুন

পুরনো শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বা সুসম্পর্ক থাকলে সেটা বর্তমান সংসারে প্রভাব ফেলবেই। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া জরুরি। আর নতুন করে জীবন শুরু করলে পুরনো অধ্যায়ের আঁচ তাতে না লাগাই ভালো।

সন্তানদের মানসিকভাবে তৈরি করুন

আগের বিয়েতে যদি সন্তান থাকে তাহলে দ্বিতীয়বার বিয়ের আগেই তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করা শুরু করুন। নতুন পরিবার বা নতুন মা/বাবা সম্পর্কে তাদের ইতিবাচক ধারণা দিন। সম্ভব হলে যাকে আপনি বিয়ে করতে যাচ্ছেন তার সঙ্গে সন্তানের পরিচয় করিয়ে দিন এবং তাদের একসঙ্গে সময় কাটাবার সুযোগ করে দিন। এতে তারা একে অপরকে বুঝতে পারবে।

অতীত স্মৃতি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন

দ্বিতীয় বিয়ের পর বারবার অতীতের স্মৃতিচারণ করবেন না। আপনার আগের স্বামী বা স্ত্রীর প্রসঙ্গ খুব বেশি তুলবেন না। বিশেষ করে আপনার নতুন সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সামনে তো নয়ই! এতে তার মনে হতে পারে যে আপনি তাকে নিয়ে সুখী নন। এমনকি এটাও মনে হতে পারে যে আপনি আগের জনকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। এসব ব্যাপার সংসারে সৃষ্টি করতে পারে অশান্তি। তাছাড়া বারবার পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করলে তুলনার ব্যাপারটাও চলে আসে।

আগের স্বামী বা স্ত্রী সম্পর্কে কটু কথা বলবেন না

ডিভোর্সের ক্ষেত্রে আগের স্বামী বা স্ত্রী সম্পর্কে মনে নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে আপনি বর্তমান স্বামী বা স্ত্রীর সামনে তার সম্পর্কে সেটা প্রকাশ করবেন, তা মোটেও ঠিক নয়। এতে আপনার নতুন সঙ্গী মনে আপনার সম্পর্কে একটা নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিতে পারে। তাই আগের স্বামী বা স্ত্রী, সংসার, শ্বশুরবাড়ি সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।

সন্তান নেয়ার ব্যাপারে ভাবুন

আগের বিয়েতে আপনার সন্তান থাকতেও পারে বা নাও থাকতে পারে। যেটাই হোক না কেন, যদি সম্ভব হয় তাহলে নতুন সংসারে সন্তান নেয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনাদের দুজনের সম্পর্ক আরো শক্ত হবে। এতে যেমন শারীরিক সম্পর্কের অস্বস্তি কেটে যাবে, তেমনি দূর হবে মানসিক দূরত্বও। আর তাছাড়া সংসারে নতুন অতিথি আসলে নতুন করে জীবন শুরু করার ব্যাপারটির নতুন দিক উন্মোচিত হবে।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025