শীর্ষবিন্দু নিউজ: সরকারের ব্যাংক ঋণের চাহিদা নেই বললেই চলে। মূলত সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধীর গতির কারণে সরকারের নগদ টাকার চাহিদা না থাকায় ব্যাংক ঋণের চাহিদা নেই। চলতি ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে সরকারের নগদ টাকার চাহিদা কম থাকায় ব্যাংক ঋণের চাহিদা ছিলো না বললেই চলে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ব্যাংক খাত থেকে নিট ৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যাংক খাতে সরকারের নিট ঋণ ছিল ৭ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। তবে জানুয়ারিতে এসে তা আরো কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, জুলাই-জানুয়ারিতে সরকারের ব্যাংক ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। আর ২০১১-১২ অর্থবছরের ছয় মাসের তুলনায় ঋণ কয়েক গুণ কমেছে। ওই সময়ে ব্যাংক থেকে ১৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা নিয়েছিল সরকার।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, নতুন সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পুরোদমে কাজ শুরুর পর ব্যাংক ঋণে চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। সূত্র মতে, বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থবছর ব্যাংক থেকে সরকার ২৫ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। আগের অর্থবছর ২৩ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সরকার ২৪ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা নিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে এসে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৮১২ কোটি টাকা। আগের বছর শেষে যা ছিল ৯১ হাজার ১৭১ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, গত ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৩ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে। যা নভেম্বর মাসেও একই পর্যায়ে ছিলো। আগের বছরের একই সময় শেষে যা ১৭ দশমিক ৪১ শতাংশ ছিল। এদিকে, রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে গেলেও ব্যাংক খাতে অলস পড়ে আছে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এই অতিরিক্ত তারল্যের পুরোটা অলস নয়। কারণ এর বড়ো একটি অংশ সরকারি বিভিন্ন উপাদানে বিনিয়োগ আকারে থাকে।