শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ভারত থেকে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে বাংলাদেশ বছরে ৪ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক বিদ্যুৎসচিব আরভি শাহি। শনিবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেল ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (আইবিসিসিআই) আয়োজিত বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
মাত্র সাড়ে ৩ বছরে বিদ্যুৎ আমদানির ঘটনাকে মাইলফলক হিসেবে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড লোকসানে নেই। বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রির কারণে লোকসান দিচ্ছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে।
সাবেক বিদ্যুৎসচিব আরভি শাহি বলেন, ৫শ মেগাওয়াটকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বাংলাদেশ পাচ্ছে ৬ টাকা দরে। অন্যদিকে, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচই পড়ছে ১৬ টাকা। সে হিসেবে প্রতি ইউনিটে বাংলাদেশের সাশ্রয় হচ্ছে ১০ টাকা। যা বছর শেষে ৪ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে। ভারতের বহরমপুর থেকে ভেড়ামারা সাবস্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ আমদানির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশকে ১৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেয় ভারত। যা ৪ ডিসেম্বর ৫‘শ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
আরভি শাহি বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের মাস্টার প্ল্যান যুক্তিসঙ্গত হয়েছে। এখানে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে ভারত কয়লা দিয়ে ৫৭ শতাংশ, চীন ৬৭ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। সেখানে বাংলাদেশের নেই বললেই চলে। লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লোকসান থেকে বের করে আনতে হবে বলেও অভিমত জানান তিনি।
মাস্টার প্ল্যানে দেখা গেছে, ২০৩০ সালে আমদানি করা কয়লা দিয়ে ৮ হাজার ৪শ মেগাওয়াট, অভ্যন্তরীণ কয়লা দিয়ে ১১ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট, গ্যাস বা এলএনজি দিয়ে ৮ হাজার ৮৫০ মেগাওয়াট, পরমাণু উৎস থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট, আঞ্চলিক গ্রিড থেকে আমদানি করবে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট আর অন্যান্য উৎস দিয়ে ২ হাজার ৭শ মেগাওয়াট। তবে উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নয়ন প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।