শীর্ষবিন্দু নিউজ: বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের বাজেট সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ লি হোয়েরো’র সঙ্গে বৈঠককালে ব্যাংটির কাছে অর্থ সহায়তা চাওয়া হয় বলে জানান মুহিত।
গণমাধ্যমমের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ্মা সেতুর সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন। জবাবে বলেছি জুন-জুলাইয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের মূল দরপত্র আহবান করা হবে। পদ্মা সেতু সংক্রান্ত অন্য দু’টি দরপত্রের (নদী শাসন ও পরামর্শক নিয়োগ) প্রক্রিয়া চলছে। এগুলো এ বছরের মধ্যেই হয়ে যাবে। জুলাই-আগস্টের মধ্যে পরামর্শক নিয়োগ চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংক যে পরিমাণ বরাদ্দ রেখেছিল সেটা তারা বিভিন্ন খাতে দিয়ে দিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণত সংস্কার কর্মসূচির ওপর দাতারা বাজেট সহায়তা দিয়ে থাকে। বিশ্বমন্দার পর এডিবি’র কাছ থেকে বাজেট সহায়তা নেওয়া হয়েছিল। বাজেট সহায়তা নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে কোনো বাজেট সহায়তা নেওয়া হয়নি। বিশ্বব্যাংকের কাছে বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাজেট সহায়তা সহজে দেওয়া হয় না। বাজেট সহায়তা প্রদানে বিগত সরকারের ৫ বছরের বাজেট পারফরমেন্স বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আগামী বাজেটে বিদ্যুত ও জ্বালানি, শিক্ষা, কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জানিয়ে মুহিত বলেন, ব্যাংকিং খাতে সংস্কার এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে সংস্কার করা হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক এরইমধ্যে ১৭০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আরো কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামী ৩ বা ৪ মাসের মধ্যে মোট প্রতিশ্রুতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২৮০ কোটি ডলার।