সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:০১

অ্যালায়েন্সের ঘোষণা: শ্রমিকদের অর্ধেক বেতন দেবে কারখানা সংস্কারকালে

অ্যালায়েন্সের ঘোষণা: শ্রমিকদের অর্ধেক বেতন দেবে কারখানা সংস্কারকালে

শীর্ষবিন্দু নিউজ: ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা সংস্কারে কাজ বন্ধ থাকলে পোশাক শ্রমিকদের প্রথম দুই মাসের বেতনের অর্ধেক দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর আমেরিকার পোশাক আমদানিকারকদের জোট অ্যালায়েন্স। বাংলাদেশের পোশাক কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গঠিত অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি’র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অ্যালেন টশার বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন গার্মেন্ট মালিক সমিতির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ব্র্যাকের রুমি আলী, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইম্প্লয়িজ লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুকুর মাহমুদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের ওয়াজেদু ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় চেয়ারম্যান অ্যালান বলেন, শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে গিয়ে অ্যালায়েন্সভুক্ত কোনো কারখানা যদি বন্ধ করতে হয়, তাহলে সে কারখানার শ্রমিকদের প্রথম দুই মাসের বেতনের অর্ধেক অ্যালায়েন্স বহন করবে। আর বাকি অর্ধেক দেবে কারখানা মালিক। তিনি জানান,  গত বছর ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের প্রাণহানির পর উত্তর আমেরিকার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ গুটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু পরে আমরা উপলব্ধি করি যে, তা কোনো সমাধান নয়। এ কারণে অন্তত পাঁচ বছর এদেশে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই পাঁচ বছরে পোশাক কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান অ্যালায়েন্স চেয়ারম্যান অ্যালেন। বাংলাদেশের ৭০০টি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ নিরাপদ করার লক্ষ্যে কাজ করছে উত্তর আমেরিকার পোশাক আমদানিকারকদের এই জোট।এরইমধ্যে তারা ৪০০টি কারখানা পরিদর্শন করেছে, যার মধ্যে চারটিকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে অন্তত ১০ লাখ শ্রমিক ও ব্যবস্থাপককে প্রশিক্ষণ দেয়ার আশা করছে অ্যালায়েন্স।

অ্যালেন জানান, শ্রমিকরা যাতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি চিহ্নিত, শঙ্কার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং জরুরি পরিস্থিতিতে ভবন থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সে সক্ষমতা গড়তে প্রশিক্ষণের পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে ৫০টি কারখানায় হেল্পলাইন চালু করা হবে বলেও জানান তিনি। চলমান কার্যক্রমের মাধ্যমে চলতি বছরের শেষ নাগাদ দেশের বেশিরভাগ কারখানা ভবন নিরাপদ হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম।

তবে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ডের কার্যক্রমে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। অ্যাকর্ডের পরিদর্শনে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আমার মনে হয় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অ্যাকর্ডের একটু চিন্তা করা উচিত। অ্যালায়েন্সের মতো অ্যাকর্ডকেও অর্থ সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024