শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাল্টিলিটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি (মেগা) এ বছর বাংলাদেশে বিদ্যুত খাতে আরো ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বিবেচনায় রেখেছে। সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর পরিকল্পনা কমিশনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সঙ্গে বৈঠক শেষে হোন্ডা এ তথ্য জানান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, পরিকল্পনা সচিব ভূইয়া সফিকুল ইসলাম, আইএমইডি সচিব সুরাইয়া বেগম, জিইডি সদস্য ড. শামসুল আলম, মেগা’র আঞ্চলিক প্রধান মোহাম্মদ বানবা ফাল। রোববার মেগার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কেইকো হোন্ডা বলেন, বিশ্বব্যাংকের চারটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেগা নবীন। সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর ৩৩ কোটি ডলার এদেশে বিনিয়োগ করেছে। এ বছর বিদ্যুৎ খাতে আরো ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বিবেচনায় রেখেছে।
তিনি জানান, অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে মেগা সহায়তার হাত প্রসারিত করবে। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল জানান, এটি একটি প্রেস্ট্রিজিয়াস প্রকল্প। এতে বিশ্বব্যাংক না জড়ালে আমাদের সম্মান বাড়বে। বিশ্বব্যাংক যেহেতু মূল প্রকল্পে নেই তাই আমরা পদ্মা সেতু নিজে করেই দেখাবো। তিনি আরো জানান, পদ্মা সেতু চারটি স্তরে সম্পূর্ণ হবে। তবে রিভার ম্যানেজমেন্ট ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা পাওয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি জোনাথন জাট জানান, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম পার্টনার। বাংলাদেশকে সংস্থাটি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা, শক্তি উৎপাদন ও অবকাঠামো খাতে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করছে। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিশ্বব্যাংক চায় পদ্মা সেতু স্থাপিত হোক। এতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারিত হবে। এই সেতুতে অর্থায়নের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিশ্বব্যাংক মনে করে বাংলাদেশে চার-পাঁচ বছরে এই সেতু সম্পূর্ণ করতে পারবে। এই সেতুতে অর্থায়নের ব্যাপারে আমরা আগের অবস্থানে আছি। ক্লাইমেট চেঞ্জকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। এর আওতায় আমরা বাংলাদেশে নদী শাসনের কাজ করছি। যমুনা নদী থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। কাজ চলমান অবস্থায় যদি পদ্মা সেতু এর আওতায় পড়ে তবে সেই কাজও আমরা করবো। তবে এতে বলা যাবে না যে, পদ্মা সেতুতে নদী শাসনের কাজ করছি।