গ্যালারী থেকে: ভুসি সিবান্দা ও শন উইলিয়ামসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সহজ জয় পেল জিম্বাবুয়ে। সাত উইকেটের এই জয়ে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হারাল স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ২৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার হ্যামিলটন মাসাকাদজা ও ভুসি সিবান্দা। ৭৯ রানের এই জুটি ভাঙেন রবিউল ইসলাম। এরপর সিকান্দার রাজাকে ৩৭ রানে জিয়াউর রহমান এবং ব্রেন্ডন টেলরকে দুই রানে মাহমুদ উল্লাহ সাজঘরের ফেরান।
নেমে ব্যাটে ঝড় তোলেন শন উইলিয়ামস। ৪৩ বলে ছয় চার ও এক ছয়ে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। জয়সূচক রানটি করে দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরির দেখা পান সিবান্দা। ১৩৪ বলে নয় চার ও দুই ছয়ে ১০৩ রানে টিকে ছিলেন তিনি।
এর আগে টস জিতে মুশফিকদের ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। সিদ্ধান্তকে যথাযথ করেন স্বাগতিক পেসার ব্রায়ান ভিটরি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে পরপর মোহাম্মদ আশরাফুল (৫) ও জহুরুল ইসলামকে (০) সাজঘরে পাঠিয়ে ২০১১ সালের পুনরাবৃত্তির ইঙ্গিত দেন।
শুরুর ধাক্কা অবশ্য সামলে ওঠে তৃতীয় উইকেট জুটি। তামিম ইকবালকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। প্রতিরোধ গড়া এই জুড়ি ভাঙেন প্রসপার উতসেয়া। ৩২ রানে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। সমান রানে তেন্দাই চাতারার কাছে উইকেট বিলিয়ে দেন তামিমও।
ব্যাটিং উইকেটে শক্ত অবস্থায় না যেতেই উইকেট হারান সাকিব আল হাসান। শন উইলিয়ামসের বলে ১৯ রানে মাঠ ছাড়ান এই অলরাউন্ডার।
দলীয় ১১০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দলকে খাদ থেকে টেনে তোলেন নাসির হোসেন। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৭৯ রানের জুটি গড়েন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তুলে নেন তৃতীয় ওয়ানডে ফিফটিও। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নাসিরের এটি ষষ্ঠ ফিফটি। ৬৩ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসে ৭৩ বলে চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জার্ভিসের শিকার হন নাসির। পরের ওভারে চাতারার দ্বিতীয় শিকার হন জিয়াউর রহমান (৫)। নেমে ৪ রানে জার্ভিসের বলে আউট হন আব্দুর রাজ্জাক।
মাহমুদউল্লাহ দেখা পান ক্যারিয়ারের নবম ওয়ানডে ফিফটি। সর্বোচ্চ ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন সফরকারী সহঅধিনায়ক। শেষ বলে রান আউট হন শফিউল ইসলাম (১)। স্বাগতিকদের পক্ষে দুটি করে উইকেটি দখল করেন চাতারা, ভিটরি ও জার্ভিস।
Leave a Reply