স্বদেশ জুড়ে ডেস্ক: পোশাক শিল্পে ট্রেড ইউনিয়ন চালু নিয়ে আপনি কে কথা বলার? এই বক্তব্য অনধিকার চর্চা বলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনাকে এর ধরনের শাসিয়ে দিলেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনাকে তার বক্তব্য পরিস্কার করতে জানিয়ে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান।
মন্ত্রণালয়ের এই তথ্য কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, চিঠিতে মন্ত্রী বলেছেন, ট্রেড ইউনিয়ন চালুর বিষয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি- তার (রাষ্ট্রদূত) কূটনৈতিক শিষ্টাচার এবং পদমর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না, তার মন্তব্য দেশের সরকারের প্রতি অনধিকারচর্চাপ্রবণ, পীড়াদায়ক এবং উসকানিমূলক বলে মনে হতে পারে। আর বলা হয় এতে বাংলাদেশে কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন চালুতে উচ্চকণ্ঠ মজীনার নিজের দেশে কয়টি অঙ্গরাজ্যে কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার রয়েছে, তা-ও জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লতিফ সিদ্দিকী।
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে প্রচলিত ট্রেড ইউনিয়ন না থাকায় তা চালুর দাবি রয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অন্যতম প্রধান ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রও এই কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দেয়ার সুপারিশ বিভিন্ন সময়ে করে আসছে। শনিবার এক অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন চালু করতে শিল্প মালিকদের প্রতি মজীনা এই আহবান জানালে, তার ওই বক্তব্যের বিরোধীতা করে এক ধরনের কারণ দর্শানো নোটিশের একটি চিঠি প্রেরণ করার হয় রাষ্টদূতের কার্যালয়ে।
সংবাদপত্রপত্রে প্রকাশিত মজীনার এই বক্তব্যকে উদ্দেশ্য করে পাঠানো এই চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকী বিশেষভাবে উল্লেখ্য করে লেখেন, যদি সংবাদপত্রে প্রকাশিত আপনার বক্তব্য সত্য না হয়ে থাকে, তাহলে দয়া করে আপনার অবস্থান ব্যাখ্যা করুন, যাতে করে অচিরেই বিভ্রান্তির অবসান হয়। বাংলাদেশ সরকার তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক কল্যাণ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে এবং শ্রম আইন-২০০৬ সংশোধন করতে যাচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসও জানে বলে মন্ত্রী জানান।
Leave a Reply