শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: আট জন জল্লাদ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য অতিরিক্ত জল্লাদ প্রয়োজন হচ্ছে।
সৌদি আরবের সিভিল সার্ভিস অফিসের চাকরিবিষয়ক ওয়েব পোর্টালে দেওয়া বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চাকরি প্রত্যাশীদের আবেদনের জন্য তেমন কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। শরিয়্যা মোতাবেক জীবন যাপন করে, এমন যে কেউ আবেদন করতে পারবে। জল্লাদদের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিচারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাই তাদের প্রধান কাজ।
তবে অপেক্ষাকৃত কম সাজায় যাদের বিভিন্ন অঙ্গহানি করার আদেশ দেওয়া হয়, সেসব কাজও জল্লাদদেরই করতে হবে। সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদের মাধ্যমে। আবার চুরির ঘটনা প্রমাণিত হলে সেক্ষেত্রে আসামির আঙুল কেটে দেওয়া হয়। অপরাধিদের সাজা দেওয়ার জন্য এ রকম আরো কিছু অঙ্গহানির আইন আছে। যা বাস্তবায়ন করতে হয় জল্লাদদের। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য মতে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিক থেকে শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে আছে সৌদি আরব।
এই তালিকায় চীন সবার ওপরে, তারপর ইরান। আর সৌদি আরবের পরে আছে ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্র। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, চলতি বছর ৮৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব। কিন্তু অ্যামনেস্টি বলছে, এই সংখ্যা ৮৭। গত বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ৮৮ জনের। অধিকাংশ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে খুনের দায়ে। ৩৪ জনকে মাদক ব্যবসার জন্য শিরশ্ছেদ করা হয়েছে।
এদিকে শিরশ্ছেদ কার্যকর হওয়া ৮৫ জনের মধ্যে অর্ধেক সৌদি আরবের নাগরিক। বাকি অর্ধেক পাকিস্তান, ইয়েমেন, জর্ডান, সিরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, চাদ, ইরিত্রিয়া, ফিলিপিন্স, ভারত ও সুদানের নাগরিক।