আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র শবে মেরাজ। সূর্যাস্তের পর থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত এ মহিমান্বিত রজনী। এ উপলক্ষে সারাদেশের মসজিদ-মাদ্রাসা, খানকা-দরবার ও বিভিন্ন ইসলামী সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে। এছাড়া রেডিও-টেলিভিশনেও এ পবিত্র রজনীর তাৎপর্য তুলে ধরা হবে। বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকারের মধ্যদিয়ে পুণ্যময় এ রাতটি অতিবাহিত করে থাকেন।
উল্লেখ্য, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে ৬২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ রজব দিবাগত রাতে মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল। এ রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) মহান আল্লাহ তায়ালার খাস রহমতে প্রথমে মক্কা মুকাররমার কাবা শরীফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মোকাদ্দস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন। সেখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। এ সময় হযরত আদম (আ.) ও বিশিষ্ট নবীদের সঙ্গে বিশ্বনবীর (সা.)-এর সালাম ও কুশল বিনিময় হয়। তারপর তিনি সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হয়। এ পর্যন্ত হযরত জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গী ছিলেন। পরে সেখান থেকে তিনি একা রফরফ নামে বিশেষ বাহনে সত্তর হাজার নূরের পর্দা অতিক্রম করে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করেন। এ সময় মহান আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বন্ধু মহানবী (সা.)কে তার উম্মতের জন্য উপহারস্বরূপ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ দান করেন। মেরাজকালে মহানবী (সা.) সমগ্র সৃষ্টি রহস্য অবলোকন করেন।
Leave a Reply