শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ আর লিখিত ক্ষমা দাবি করেছেন ঘড়ি বালক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মার্কিন অঙ্গরাজ্য টেক্সাসের স্কুলছাত্র আহমেদ মোহাম্মদ। ঘড়ি বানানোর জন্য তাকে গ্রেপ্তার ও হয়রানির ক্ষতিপূরণ হিসেবে নগর ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এ দাবি করেছে তার পরিবার।
স্থানীয় মেয়র ও পুলিশ প্রধানের কাছে লিখিত ক্ষমা চেয়েছে তারা। তাদের আইনজীবী জানিয়েছেন, ৬০ দিনের মধ্যে তাদের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে মামলা ঠুকে দেবেন তারা। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট। আইনজীবীরা জানিয়েছেন সোমবার আরভিং শহর কর্তৃপক্ষ ও আরভিং স্কুল ডিস্ট্রিক্টের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে ক্ষমা প্রার্থনা ও ক্ষতিপূরণ না দেয়া হলে তারা আইনি পদক্ষেপ নেবেন।
নগর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘আহমেদ কখনও কারও জন্য হুমকি ছিল না। কাউকে কোন ক্ষতি করেনি। আর কখনও এমন কোন অভিপ্রায় তার ছিল না। ওই দিন শুধু যে আহত হয়েছে সে হলো আহমেদ। এতে তার ক্ষতি হয়েছে তা অযোগ্যতা বা দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ার কারণে হয়নি।
সংশ্লিষ্ট স্কুল আর নগর কর্তৃপক্ষ জানতেন আহমেদের অধিকার রক্ষায় তাদের কি কি করা প্রয়োজন ছিল। তারা স্রেফ তা না করার সিদ্ধান্ত নেয়।’ সেপ্টেম্বর মাসে বাড়িতে বানানো একটি ঘড়ি নিয়ে স্কুলে গেলে আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয় প্রতিভাবান এ বালক। এক শিক্ষক ওই ঘড়িকে বোমা মনে করে পুলিশকে ফোন দেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
পরে অবশ্য বাবা-মা’র জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় পুরো বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তিরা আহমেদের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আহমেদকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান।