শীর্ষবিন্দু নিউজ: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো আলোচিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচনের এক দিন পর বললেন, পরাজিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান জনগণকে ভুলে প্রধানমন্ত্রীর আশপাশের লোকজনকে সন্তুষ্ট করতে ব্যস্ত ছিলেন। যার কারণে এই পরিণতি মেনে নিতে হলো আওয়ামীলীগকে।
জাহাঙ্গীর বলেন, মাঠপর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে দলের কোনো কার্যক্রম নেই। জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজ্জামেল হক এবং সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্লা খান স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়েছেন। তাঁদের মতের বিরোধিতা করলেই নেতা-কর্মীদের দল থেকে বহিষ্কারের ভয় দেখানো হতো। তিনি বলেন, গত দেড় বছরে তিনি (জাহাঙ্গীর) মসজিদ-মন্দির-স্কুল-কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ৯৪৩টি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। সাংসদেরা ১৯টি কর্মসূচি করেছেন কিনা, সন্দেহ। গাজীপুর পৌরসভার সাবেক এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করলে গাজীপুরে আবার আওয়ামী লীগ আগের অবস্থানে ফিরে আসবে। এলাকার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দলের জন্য কাজ করতে মুখিয়ে আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁদের মূল্যায়ন হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে আবার ভালো ফল করা সম্ভব। সিটি করপোরেশন এলাকাটি চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে গাজীপুর-২ আসনের পুরোটাই সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এবং দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রীকে সঠিক তথ্য দেননি। মাঠের সঠিক চিত্র না দিয়ে তাঁরা নেত্রীকে বিভ্রান্ত করেছেন। নির্বাচনী ফলাফলে এর প্রভাব পড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সঙ্গে নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের দূরত্বই এই অবস্থার মূল কারণ। কোনো জাতীয় ইস্যু নয়, সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ে কাজ করেছে সব স্থানীয় ইস্যু। আনারস প্রতীক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও পরে জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কথায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান এবং আজমত উল্লার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নামেন। নেতারা তাঁদের কর্মীদের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মনে করেন। আমাদের এমপিরা ভুলে গেছেন, মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হয়। তাঁরা মনে করেন, দল যাঁদের মনোনয়ন দেবে, তাঁরাই নির্বাচন করবেন। বিষয়টা আসলে তা নয়। যারা জনগণের কাছে থাকে, মনোনয়ন পাওয়ার অধিকার তারাই রাখে, তারাই নির্বাচিত হয়।
Leave a Reply