বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৪

বাংলাদেশে সকল গামেন্টস পরিদর্শন করবে বিদেশি ক্রেতা কোম্পানীগুলো

বাংলাদেশে সকল গামেন্টস পরিদর্শন করবে বিদেশি ক্রেতা কোম্পানীগুলো

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শীর্ষবিন্দু নিউজ: বাংলাদেশে তৈরি পোশাকখাতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে সকল গামেন্টস কারখানা পরিদর্শন প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। বিদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য পোশাক প্রস্তুত করা সব গার্মেন্টস আগামী নয়মাসের মধ্যে পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপভিত্তিক ৭০টি খুচরা বিক্রেতা ও পোশাক ব্র্যান্ডের জোট। সোমবার এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে কোম্পানিগুলো এ তথ্য জানায়।

আগুন ও ভবন নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক পরিদর্শক দল বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সহায়তায় এসময় কারখানাগুলো পরিদর্শন করবেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। যেসব কারখানা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাওয়া যাবে, সেসবের মালিকদের বলা হবে মেরামত ও তদন্ত চলাকালে কারখানা বন্ধ রাখতে। তবে এসময় শ্রমিকদের যথারীতি বেতন দেওয়া হবে। একজন নির্বাহী পরিচালক পদের প্রধান পরিদর্শক ও সমন্বয়ক কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশের ব্যাপারে অবহিত করবেন। তিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ, চুক্তিতে অংশ নেওয়া সব কোম্পানি এবং শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার ব্যাপারে সতর্ক করবেন। যৌথ বিনিয়োগ, নগদ প্রদান, আলোচনাভিত্তিক বাণিজ্যিক পর্যায়কাল, সরকারি বা দাতা সাহায্যসহ যে কোনো মাধ্যমে কিংবা এসবের মিশ্রণে নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

কোন কোন কারখানায় কোম্পানিগুলোর পোশাক তৈরি হয়, তাদের তালিকা আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই তৈরি করা হবে। এরকম কারখানার সংখ্যা এক হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিদর্শনের ফলাফল জনসমক্ষে প্রচার করা হবে। ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংগঠন) এবং ব্রিটিশ, ড্যানিশ, ডাচ সরকার ইউরোপভিত্তিক কোম্পানিগুলোর উদ্যোগে অর্থ সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছে।

সাভারের রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর গত মে মাসের মাঝামাঝি বিভিন্ন শ্রম সংস্থা ও বেসরকারি সংগঠনের সহায়তায় কোম্পানিগুলো এ উদ্যোগের ঘোষণা দেয়। দুই সপ্তাহ আগে কয়েকটি কোম্পানি সর্বপ্রথম এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করে। পরবর্তীতে এইচঅ্যান্ডএম, ক্যারাফোর, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, পিভিএইচ (কেলভিন ক্লাইন ও টমি হিলফিগারের মালিক প্রতিষ্ঠান) সহ আরো কোম্পানি এতে যোগ দিলে চুক্তিতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭০-এ। ছয় সদস্যের একটি পরিচালনা কমিটি প্রকল্পটি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়, যাদের মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানি ও বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি রয়েছেন।  এ চুক্তিটি কোম্পানিগুলোকে আইনের কাছে দায়বদ্ধ করে ফেলবে অভিযোগ করে বেশিরভাগ মার্কিন প্রতিষ্ঠান একে প্রত্যাখ্যান করে। তবে পরবর্তী সময়ে ওয়ালমার্ট, গ্যাপ, টার্গেটসহ বিভিন্ন মার্কিন ব্র্যান্ড পৃথক একটি চুক্তি করার উদ্যোগ নেয়। জুলাই মাসের মাঝামাঝি তারা তাদের চুক্তির বিস্তারিত জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024