ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে ফোনালাপ করেছেন সদ্য মার্কিন নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোনালাপে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি ‘যুদ্ধ বন্ধ করতে কাজ করবেন’ এবং এই অঞ্চলে উত্তেজনা কমাতে পদক্ষেপ নেবেন। শনিবার (৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বানের মধ্যে সংঘটিত এই কথোপকথনটি তার অফিসে থাকাকালীন মধ্যপ্রাচ্য শান্তির বিষয়ে ট্রাম্পের পূর্ববর্তী অবস্থানের কারণে একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত চিহ্নিত করে।
এই বিবৃতিতে অবশ্য ট্রাম্পের পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আরও বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়নি। এবং তিনি যুদ্ধ বন্ধে কী পদক্ষেপ নিতে চান তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গতবারের শাসনামলে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতিসহ বিতর্কিত নীতি তৈরি করেছিলেন ট্রাম্প। ইসরাইলকে থামিয়ে কীভাবে ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করবেন, তার সম্ভাব্য ভূমিকার বিষয়ে জল্পনা চলছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সাল থেকেই ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন আব্বাস। তিনি রাজনৈতিক দল ফাতাহ’র নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মূলত হামাস ও ফাতাহ পার্টির মধ্যে তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে।
২০০৫ সালে দ্বিতীয় ও সবচেয়ে সহিংস ইন্তিফাদার পর ইসরাইল গাজা উপত্যকা থেকে তাদের সৈন্য এবং প্রায় সাত হাজার বসতি স্থাপনকারীকে প্রত্যাহার করে নেয়।
এর এক বছর পর ফিলিস্তিনের নির্বাচনে হামাস নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। এর পর ২০০৭ সালে ফিলিস্তিনের হামাস এবং ফাতাহ পার্টির মধ্যে একটি সহিংস ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়।
সেই সময় ফাতাহ পার্টির নেতৃত্বে ছিলেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গাজায় হামাস বিজয়ী হয় এবং এখন পর্যন্ত তারাই সেখানকার শাসন ক্ষমতায় টিকে আছে। এর মধ্যে গাজা উপত্যকায় বয়ে গেছে তিনটি যুদ্ধ এবং ১৬ বছরের অবরোধ।
Leave a Reply