 
								
								
                            
                       
যুক্তরাজ্য থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনছে তুরস্ক। এরই মধ্যে লন্ডনের সঙ্গে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সই করেছে আঙ্কারা। আল জাজিরার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
বিমান বাহিনী শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে তুরস্ক নিজেই পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ক্রয়ের চেষ্টা করছে দেশটি।
যেমন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি কাতার থেকে ৪০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কেনার লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান প্রশাসন।
সেই প্রচেষ্টারই ধারাবাহিতায় এবার যুক্তরাজ্য ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে চূড়ান্ত করেছে তুরস্ক। আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) আঙ্কারায় চুক্তি স্বাক্ষর করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই চুক্তিকে ‘এক প্রজন্মের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ বিমান বিক্রয় চুক্তি’ বলে আখ্যায়িত করেছে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘এটি দুই ঘনিষ্ঠ মিত্রের কৌশলগত সম্পর্কের নতুন প্রতীক।’
স্টারমার বলেন, এই চুক্তি শুধু যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেই নয়, ন্যাটোর প্রতিরক্ষা শক্তিকেও আরও দৃঢ় করবে। এটি ন্যাটোর দক্ষিণ-পূর্ব ফ্ল্যাঙ্কে অবস্থান করছে, আর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এই সক্ষমতা সংযুক্ত হওয়া ন্যাটোর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বলেন তিনি।
চুক্তির অধীনে প্রথম ইউরোফাইটার বিমানগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে তুরস্কের হাতে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের জুলাইয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাজ্য ৪০টি ইউরোফাইটার কেনার প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছায়, যা জার্মানি, ইতালি ও স্পেনসহ ইউরোফাইটার কনসোর্টিয়ামের অন্যান্য সদস্যও অনুমোদন দেয়।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আঙ্কারা নিজেদের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মেরকে এএএন যুদ্ধ বিমান চালুর আগে অন্তত ১২০টি যুদ্ধ বিমান ক্রয়ের পরিকল্পনা করছে, যাতে বিমান বাহিনীর সক্ষমতা ধরে রাখা যায়। এ জন্য কাতার ও ওমান থেকে ও ১২টি করে ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধ বিমান কেনার আলোচনা চলছে।
এর আগে গত বছর তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৪০টি এফ–১৬ যুদ্ধবিমান কিনতে ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করে। তবে বিমানগুলো এখনও হাতে পায়নি আঙ্কারা। এছাড়া প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওয়াশিংটন নেতৃত্বাধীন এফ–৩৫ প্রকল্পে পুনরায় যোগদানের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
Leave a Reply