শীর্ষবিন্দু নিউজ: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাই কমিশনার হিদার ক্রুডেনের রোববারের বৈঠকটি ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর নিজ কক্ষে এই বৈঠক চলছিলো। বাইরে সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের অপেক্ষা। এমন সময়ই সেখানে হাজির চেক রঙের শার্ট পরা, মুখে দাড়ি এক মধ্যবয়স্ক।
হঠাৎই লোকটি এলেন অর্থমন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর কক্ষের সামনে। সাংবাদিকরা এদিক-ওদিক দাঁড়ানো। কাউকে কিছু না বলে দরজা টানলেন লোকটি। দেখলেন ভিতরে বৈঠক চলছে। দরজা ছেড়ে বাইরে ডানে বামে তাকালেন। আবার দরজা টেনে উঁকি মেরে হাত দিয়ে ইশারা করলেন অর্থমন্ত্রীকে।
ভিতরে তখনও কানাডিয়ান হাই কমিশনার। বিব্রত সবাই। স্বয়ং অর্থমন্ত্রী এসে সজোরে ধমক দিলেন। ‘ইউ স্টুপিড। গেট লস্ট।’ একটু বলে নিজেই আবার দরজা টানলেন। তখন সবার নজর অর্থমন্ত্রীর কক্ষের দিকে। লোকটিও চিৎকার চেচামেচি শুরু করল। শুরু হলো হুলস্থুল। ছুটে এলেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কয়েকজন। লোকটিকে তাৎক্ষণিক আটক করে অর্থমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব তানভীর বাশারের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের উর্ধ্বতনরা এসে তাকে নিয়ে যান।
কে তিনি অর্থমন্ত্রীর রুমের সামনে? কিভাবে ঠুকলেন সচিবালয়ে? একেকজন প্রশ্ন তুলে তাকান অন্যের মুখের দিকে। জানতে চাইলে লোকটি বললেন, আমি দেশের মালিক। আমি সাধারণ কেউ না।
আপনি কেন অসাধারণ? প্রশ্ন সাংবাদিকদের।
আবারও দাবি, আমি দেশের মালিক। আমি কেন অসাধারণ হবো না।
আপনি কিভাবে ঠুকলেন এখানে?
লোকটি বললেন, পাস লাগে না। আমি মন্ত্রীর কাছে এসেছি মেশিন নিতে। দেশের মালিকের মেশিনটি অর্থমন্ত্রীর কাছে। সেটি নিতে এসেছি!
বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে একেক বার একেক কথা বলেন। একবার কিশোরগঞ্জ, একবার কুমিল্লা।
সবশেষ খবর পর্যন্ত লোকটি ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার সচিবালয়ে মশিউর রহমানের কক্ষে ছিলেন।
তবে এ সময় সকলের কাছে একটি প্রশ্নই সামনে আসে, এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিনা পাসে এমন একটি মানুষ কিভাবেই সচিবালয়ে ঢুকে পড়লেন? এবং অর্থমন্ত্রীর কক্ষ পর্যন্ত কিভাবেই বা পৌঁছে গেলেন?