শীর্ষবিন্দু নিউজ: ক্রিকেট জোয়ারে ভাসছে দেশ। পথে-ঘাটে, রাস্তায়, দোকানপাট, অফিস-আদালত, চায়ের টেবিল এবং নগর পরিবহনে একই আলোচনা। বিভিন্ন দলের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কয়েক দিন ধরেই নগরীর আলোকসজ্জা দেখার জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে বের হচ্ছেন অগণিত মানুষ। সড়কের মাঝে আলোকমালায় তুলে ধরা হয়েছে বাংলার ঐতিহ্য।
টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা সেজেছে রঙিন সাজে। নতুন সাজসজ্জায় ঢাকা এখন উৎসবের নগরী। বিমানবন্দর থেকে শাহবাগ, রূপসী বাংলা হোটেল এবং বিজয় সরণি থেকে মিরপুর স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে ঝলমলে আলোয় সাজানো হয়েছে। সে কারণে রাতের ঢাকা নগরবাসীর কাছে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ক্রিকেটের উৎসব শুধু রাজধানী ঢাকাতেই নয়, সারাদেশেই এর প্রতিফলন ঘটেছে। ক্রিকেট ভক্তরা সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখছেন ক্রিকেটের সর্বশেষ খবর জানতে। ইংল্যান্ডে ক্রিকেটের উৎপত্তি হলেও এ খেলাটি এখন পরিণত হয়েছে সর্বজাতীয় এবং সর্ব সাধারণের খেলায়। আর বিশ্বকাপ যেন এক কাতারে দাঁড় করিয়েছে সারা পৃথিবীর মানুষকে। বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের এই জনপ্রিয়তাকে ২০০১ সালে ভিন্নমাত্রা দেয় আইসিসি। নতুন নতুন পদ্ধতির ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালে শুরু হয় টি-২০ ম্যাচ।
আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই বাংলাদেশের মানুষেরও। বিশ্বকাপ উপলক্ষে শত শত ক্রিকেটপ্রেমীদের শোভাযাত্রায় প্রতিদিন মুখরিত হয়ে উঠছে বিভিন্ন জেলা শহর। কমতি নেই আয়োজনে। রয়েছে বিনোদনও।
এদিকে, আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৪ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সেলিব্রেশন কনসার্টের আয়োজন করা হয়। গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ আয়োজন করেছে। প্রায় দুই ঘণ্টার এই কনসার্টে যোগ দিতে অস্কারজয়ী বিশ্ববরেণ্য সঙ্গীতজ্ঞ এ আর রাহমানের নেতৃত্বে ১৩০ জনের শিল্পী ও যন্ত্রী সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে পৌঁছে। তার সঙ্গে এসেছেন উদিত নারায়ণ, জাভেদ আলী, নীতি মোহন, শ্বেতা পণ্ডিত, আনন্দন শিবামনি এবং হারসদীপ কৌর। এছাড়াও গান গাইবেন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় গায়ক অ্যাকন। সন্ধ্যা ছয়টায় ‘আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, কুমার বিশ্বজিৎ ও মমতাজ গান পরিবেশন করেন।
নগরসজ্জা প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, টি-২০ উপলক্ষে নগরসজ্জার দায়িত্ব মূলত আমাদেরই ছিল। সন্তোষজনকভাবেই আমরা সাজসজ্জার কাজ শেষ করতে পেরেছি। তিনি বলেন, এখন নগরীর সংস্কার কাজ চলছে। বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য ইতোমধ্যেই রাজধানীকে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রূপসী বাংলা হোটেল পর্যন্ত চমৎকারভাবে সাজানো হয়েছে। স্যুয়ারেজ লাইন, ফোয়ারা, রোড লাইট সংস্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে।