শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের অডিও টেপে রেকর্ড হওয়া নিখোঁজ বিমানের সর্বশেষ উচ্চারণটি ছিল কো পাইলট ফারিক আব্দুল হামিদের। তিনিই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের উদ্দেশে বলেন অলরাইট গুডনাইট। পাইলট ও এর ফার্স্ট অফিসারের (কো পাইলট) আত্মহত্যাকে যখন বিমানটি নিখোঁজের অন্যতম কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে তখনই এ তথ্য প্রকাশ করলেন জওহারি ইয়াহিয়া।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ বিমানটির মালিক মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী আহমেদ জওহারি ইয়াহিয়া এ কথা বলেন। আহমেদ জওহারি বলেন, সর্বশেষ তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের অডিও রেকর্ডে ধারণ করা আওয়াজটি ছিলো বিমানের কো পাইলটের।
কুয়ালালামপুর থেকে চীনের রাজধানী বেইজিং যাওয়ার পথে ৮ মার্চ নিখোঁজ হয় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০। এ সময় বিমানটিতে ২৩৯ জন আরোহী ছিলো। সর্বশেষ তদন্তে দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃতভাবেই বিমানটিকে এর রুট থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে ধারণা বদ্ধমূল হচ্ছে। প্রধান নির্বাহী আহমেদ জওহারি ইয়াহিয়া বলেন, বিমানের অটোমেটিক ট্র্যাকিং সিস্টেম কে অকার্যকর করেছে তা অস্পষ্ট।
এসিএআরএস নামে অভিহিত স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাকিং সিস্টেমটি অকার্যকরের পর ককপিট থেকে ভেসে আসা ‘অলরাইট গুডনাইট’ আওয়াজ বিমানটির নাশকতা এবং ছিনতাইয়ের সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করেছে।
সর্বশেষ শব্দটি উচ্চারিত শব্দটি রেকর্ড হয় রাত ১টা ১৯ মিনিটে। অথচ এসিএআরএস সিস্টেম থেকে সর্বশেষ তথ্য পাওয়া যায় রাত ১টা ০৭ মিনিটে। এ সময় বিমানটি মালয়েশিয়ার আকাশ সীমা ত্যাগ করে থাইল্যান্ড উপসাগরের ওপর দিয়ে উড়ছিলো।
এদিকে বিমান নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন করতে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করেছে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যেই পাইলট ও কো-পাইলটের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া খোঁজ নেয়া হচ্ছে বিমানের আরোহী ও অন্য ক্রুদের অতীত এবং তাদের পরিচয় সম্পর্কে। বাদ যাচ্ছেন না বিমানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রাউন্ড ক্রু ও প্রকৌশলীরাও।
স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজ হওয়ার বিন্দু থেকে উত্তর ও দক্ষিণে দু‘টি বিস্তৃত করিডোরের যে কোনো স্থানে থাকতে পারে বিমানটি। একটি রেখা লাওস থেকে ক্যাস্পিয়ান সাগর পর্যন্ত এবং আরেকটি সুমাত্রা থেকে দক্ষিণ ভারত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।