শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: নৌকা পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবেশের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২৯ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পাপুয়া নিউগিনিতে পাঠানো হয়েছে। তবে তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে চায় অস্ট্রেলিয়া।
অবৈধভাবে সাগর পারি দিয়ে আসা এ মানুষগুলোকে পাপুয়া নিউগিনিতে পাঠিয়ে দিচ্ছে অস্ট্রেলীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। এখন পাপুয়া নিউগিনি থেকে এ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিজ দেশে পাঠাতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। এ বিষয়ে আলোচনা করতে ২৪ মার্চ ঢাকায় আসছে একটি অস্ট্রেলিয়ার একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশের নাগরিকরা সাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়ায় ভিড় করছে। গত কয়েক বছরে এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধভাবে যাওয়া নাগরিকদের বিষয়ে একটি যৌক্তিক সমাধান খুঁজছে দেশটি। একই উদ্দেশ্যে ২৪ মার্চ দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছে উচ্চ পর্যায়ের অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধি দল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, নৌকা পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অভিযোগে ২৯ বাংলাদেশি আটক করা হয়েছে। পাপুয়া নিউগিনিসহ বিভিন্ন দ্বীপে পাঠানো হয়েছে তাদের। এসব বাংলাদেশিকে ফেরত দিতে চায় দেশটি। সেসব বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করবে এ প্রতিনিধি দল। তবে শুধু বাংলাদেশ নয় এ ধরনের বৈঠক মায়ানমার, পাকিস্তান, ইরাক, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কাসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সঙ্গেও করবে অস্ট্রেলিয়া। সম্প্রতি অভিবাসী ইস্যুতে কঠোর হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২৯ বাংলাদেশিকে আটক ইস্যু ছাড়াও বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সহজীকরণ এবং শিক্ষার্থীদের বৃত্তি বাড়ানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ অনুরোধ জানাবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র।
নৌকায় পাড়ি দেয়া বেশির ভাগই মানুষই ধরা পরার পর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ২০ হাজার সাগর পাড়ি দেয়া অবৈধ অভিবাসী রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে। অবৈধ অভিবাসীদের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া সহজ বিধায় গত কয়েক বছরে ক্রমাগত এর মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরপর থেকে অভিবাসন ব্যবস্থা কঠোর করেছে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এরপরও সাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে মানুষ আসার সংখ্যা কমাতে পারছে না অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ।