প্রযুক্তি আকাশ ডেস্ক: আইফোন ৬ ও ৬ প্লাসআইফোন ৬ ও ৬প্লাসের ১৬ গিগাবাইট মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ক্যারিয়ারের সঙ্গে চুক্তি ছাড়া বিক্রি হচ্ছে ৬৪৯ ও ৭৪৯ মার্কিন ডলারে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার গবেষণা
প্রতিষ্ঠান আইএইচএস টেকনোলজি দাবি করেছে, অথচ এই দুটি ফোন তৈরিতে অ্যাপলের খরচ হয়েছে সব মিলিয়ে ২০০.১০ ও ২১৫.৬০ মার্কিন ডলার করে। সিএনএন এক ভিডিওতে সব যন্ত্রাংশের দামসহ আইফোন তৈরির সব খরচ দেখিয়েছে। আইএইচএস টেকনোলজির গবেষকেরা জানিয়েছেন, আইফোনকে অ্যাপলের মুনাফার মূল উৎস হিসেবে ধরা হয়। আগামী বছরও আইফোন থেকে প্রচুর মুনাফা করবে প্রতিষ্ঠানটি।
আইএইচএসের গবেষকেরা গতকাল জানিয়েছেন, অ্যাপলের বড় মাপের আইফোন অন্যবারের নতুন আইফোনের তুলনায় ১০০ ডলার করে বেশি দামে বিক্রি করছে অথচ উৎপাদন খরচ বেড়েছে মাত্র ১৫.৫০ মার্কিন ডলার।
অ্যাপল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, আইফোন বিক্রি শুরুর প্রথম তিন দিনেই আইফোন ৬ ও ৬প্লাস মিলিয়ে ১০ কোটি ইউনিটেরও বেশি বিক্রি হয়েছে। আইফোনের আগের সংস্করণগুলোর চেয়ে এবারের দুটি মডেলই বড় মাপের। বাজার গবেষকেরা জানিয়েছেন, ক্রেতারা বড় মাপের আইফোনে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আইফোন ৬প্লাস হচ্ছে ৫.৫ ইঞ্চি মাপের আর আইফোন৬-এর মাপ হচ্ছে ৪.৭ ইঞ্চি। বড় মাপের আইফোন দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রয়েডকে ঠেকানোর লক্ষ্যে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আইফোন বিক্রি শুরু করে অ্যাপল।
অ্যাপলের সবচেয়ে বেশি মুনাফা হবে আইফোন৬ প্লাস থেকে। ২১৫.৬০ ডলার খরচে তৈরি এই ফোনটি বিক্রি করছে ৭৪৯ মার্কিন ডলারে আর ২০০.১০ ডলারে তৈরি আইফোন ৬ বিক্রি করছে ৬৪৯ মার্কিন ডলারে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ওয়্যারলেস ক্যারিয়ারের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে ১৬ গিগাবাইট মডেলের আইফোন৬ বিক্রি হচ্ছে ২০০ ও আইফোন৬ প্লাস বিক্রি হচ্ছে ৩০০ মার্কিন ডলারে।
আইফোন ৬ প্লাসে অবশ্য আইফোন৬-এর তুলনায় কিছুটা বাড়তি সুবিধা রেখেছে অ্যাপল। এতে আইফোন ৬-এর তুলনায় বড় ব্যাটারি ও কিছুটা দামি ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়েছে। উৎপাদন খরচ প্রসঙ্গে অ্যাপল অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। সাধারণত উৎপাদন খরচ সম্পর্কে মুখ খোলে না কুপারটিনোভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি।