নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র লুৎফর রহমানের কাজকর্মের ওপর নজর রাখবে বৃটিশ সরকার। এজন্য তিনজন পরিদর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলের কাজকর্ম নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, ওই কাউন্সিলে সুশাসনের অভাব রয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। এতে আরও বলা হয়, বৃটেনের কমিউনিটি বিষয়ক মন্ত্রী এরিক পিকলস বলেছেন, এই কাউন্সিলে নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত এই কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত লুৎফর রহমান। এরিক পিকলস মঙ্গলবার পার্লামেন্টে এই কাউন্সিলের দু’টি কার্যক্রম দেখাশোনার জন্য তিনি তিনজন কমিশনার নিয়োগ করছেন। এই কমিশনাররা ২০১৭ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত কাউন্সিলের অনুদান এবং ভূ-সম্পত্তি বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখাশোনা করবেন।
বিবিসি’র বিশ্লেষক কার্ল মার্সার বলেন, এই পরিদর্শকরা এরিক পিকলসের চোখ-কান হিসেবে কাজ করবেন এবং নির্বাচিত মেয়র লুৎফর রহমানের প্রায় সব কাজকর্মের ওপর নজর রাখার অধিকার তাদের থাকবে। অবশ্য মন্ত্রীর প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে দু’সপ্তাহের মধ্যে টাওয়ার হ্যামলেটসকে তাদের জবাব জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইনি চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
প্রাইস ওয়াটার কুপার্স (পিডব্লিউসি) নামে একটি একাউনটেন্সি ফার্মের দেয়া ২০০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে বলা হয়, মেয়র লুৎফর রহমানের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি কোম্পানির কাছে পপলার টাউন হল নামে একটি সরকারি ভবন বিক্রির ক্ষেত্রে অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে।
এরিক পিকলস বলেন, এ ঘটনা বিরল। এর ফলে অনুদান এবং ভূ-সম্পদ বিক্রির ক্ষেত্রে যে নীতি অনুসৃত হয়- তা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে রিপোর্টে বলা হয়। এ ছাড়া এই কাউন্সিল কিছু অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে সরকারি অর্থ অনুদান দিয়েছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
এর পর লুৎফর রহমান এক বিবৃতিতে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, পিডব্লিউসির এই রিপোর্টে প্রক্রিয়াগত কিছু ত্রুটি তুলে ধরা হয়েছে যা দুঃখজনক। আমরা এই রিপোর্ট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবো এবং আমাদের প্রক্রিয়া শক্তিশালী করবো। বিবৃতিতে আস্থা প্রকাশ করা হয় যে, অনিয়মের কোন অভিযোগ প্রমাণিত হবে না। এর আগে লুৎফর রহমান টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে একটি বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া শিগগিরই জানানো হবে।