বুধবার এক বিবৃতিতে সরকার বলেছে, “১০ দিনেরও বেশি সময় আগে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা ‘আজ শেষ হয়েছে’। রাষ্ট্র এ সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়া এবং এর ফলে পরবর্তী যা কিছু ঘটবে তার সবকিছুর জন্য মুসলিম ব্রাদারহুডকেই দায়ী মনে করছে।” এ ঘোষণায় আলোচনার মাধ্যমে মিশরের সঙ্কট নিরসনের সম্ভবনা বিশাল ধাক্কা খেল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ব্রাদারহুডের প্রতিবাদ সরকার ও সেনাবাহিনী শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে শেষ করতে চাইছে, এটি তারই ইঙ্গিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মধ্যস্থতার জন্য মিশরে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের দুজন জ্যেষ্ঠ সিনেটর, লিন্ডসে গ্রাহাম ও জন ম্যাককেইন মিশর সরকারকে রাজবন্দিদের মুক্ত করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মুরসির সঙ্গে আলোচনারও আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু দেশটির অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট আদলি মনসুর এক প্রতিক্রিয়ায় তাদের এ আহ্বানকে “অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ” বলে সমালোচনা করেছেন। সরকারের এ সমালোচনার কারণে মিশরে রক্তক্ষয় দূর করা এখনো অনেক দূরের পথ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতরাও মিশরে সঙ্কট নিরসনের চেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু মিশর সরকার মুরসিপন্থিদের অবস্থান কর্মসূচি ভেঙে দিতে তৎপর হয়ে দেশে আরো সহিংসতা ও রক্তক্ষয় ডেকে আনবে বলে তারা শঙ্কিত।
গত ৩ জুলাই মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। কয়েকদিনের সরকার বিরোধী বিক্ষোভের জের ধরে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এর পর থেকে মুরসির ক্ষমতাচ্যুতির বিরোধিতা করে টানা প্রতিবাদ বিক্ষোভে চালিয়ে যাচ্ছে মুরসির প্রধান সমর্থক গোষ্ঠী মুসলিম ব্রাদারহুড। তাদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলাকালীন বিভিন্ন সহিংসতায় এ পর্যন্ত সেনাসহ প্রায় তিনশ মানুষ নিহত হয়েছে।
Leave a Reply