শীর্ষবিন্দু নিউজ: রুপালী জগতের বাসিন্দা পর্দার নবাব আনোয়ার হোসেন চিরকালের মতো চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এই অভিনেতার। স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎক ডা. মির্জা নাজিমুদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় তার পিত্তথলীতে পাথর থাকার বিষয়টি সন্দেহ করছিলেন তার তত্ত্বাবধানকারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছিলেন, অস্ত্রোপচারের মতো শারীরিক অবস্থা না থাকায় এভাবেই থাকতে হবে তাকে। বর্ষীয়ান এই অভিনেতা অসুস্থতা নিয়ে গত ১৮ অগাস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। এক সপ্তাহ পর চিকিৎসকরা জানান, তেমন বড় কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা কাটিয়ে ওঠেন ওই সপ্তাহেই। আকস্মিকভাবে রাত প্রায় আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। অর্ধ শতকেরও বেশি সময় বাংলা চলচ্চিত্রে সরব পদচারণার পর জীবনের যবনিকা টেনেছেন আনোয়ার হোসেন।
আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৩১ সালে ময়মনসিংহে।১৯৫০ সালে জামালপুর সরকারি স্কুল থেকে এসএসসি এবং পরে আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৫৮ সালে ‘তোমার আমার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পান তিনি। তার জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঁচের দেয়াল (১৯৬৩), বন্ধন (১৯৬৪), জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০), রংবাজ (১৯৭৩), ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩), রুপালী সৈকতে (১৯৭৭), নয়নমণি (১৯৭৭), নাগর দোলা (১৯৭৮), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), সূর্য সংগ্রাম (১৯৭৯) ইত্যাদি।