শীর্ষবিন্দু নিউজ: অস্ত্রের পরিবর্তে শিক্ষা খাতে তহবিল বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষাকে উন্নয়নের প্রাণকন্দ্রে স্থান করে দেয়ার লক্ষ্যে চলমান প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়) জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘বৈশ্বিক শিক্ষার উদ্যোগ’-এর বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ইকোসোক চেম্বার আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ওই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং অস্ত্রের পরিবর্তে শিক্ষা খাতে অর্থ বরাদ্দই শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রকৃত পন্থা। এ উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই কনসেপ্ট প্রতিটি শিশুকে স্কুলে যেতে, শিক্ষার মান উন্নয়নে এবং শিক্ষার জন্য দ্রুত বৈশ্বিক অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করবে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এদিকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘স্পেশাল ইভেন্ট টু ফলোআপ এফোর্টস মেড টুওয়ার্ডস এচিভিং দ্য এমডিজি’- শীর্ষক অপর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমডিজি-৭ অর্জন বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে বাংলাদেশ ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা অর্জনে আন্তঃসরকার আলোচনার জন্য রাজনৈতিক পটভূমি তৈরিতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অগ্রভাগে থাকবে। আয়ারল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইয়ামন গিলমোরের সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে কো-চেয়ার হিসাবে বক্তৃতা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এমডিজি-১, এমডিজি-২, এমডিজি-৩, এমডিজি-৪, এমডিজি-৫ এবং এমডিজি-৬ পূরণ করেছে অথবা পূরণ করার পথে রয়েছে। বাংলাদেশ একটি নিম্নাঞ্চলের উপকূলীয় রাষ্ট্র। এ দেশ প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে আসছে। তাই বাংলাদেশের পক্ষে এমডিজি-৭ অর্জন খুবই কঠিন হবে। তিনি আরও বলেন, প্রশমন ও অভিযোজন নীতির আলোকে মহাজোট সরকার ১৩৪ দফা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।