শীর্ষবিন্দু আর্ন্তজাতিক নিউজ: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ওঠেনি কাশ্মীর প্রসঙ্গ।
কিন্তু সাংবাদিকদের ভিড়ে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তেই হল দু’দিনের ভারত সফরে আসা মার্কেলকে। আর তাতে আঙ্গেলার জবাব, কাশ্মীরের মানুষ অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছেন। এই পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া প্রয়োজন।
তবে, কাশ্মীর নিয়ে এই উদ্বেগ মার্কেলের ভারত সফরে কোনও প্রভাব ফেলেনি। কাশ্মীর প্রসঙ্গ না উঠলেও মার্কেল-মোদী বৈঠকে হাতে হাত মিলিয়ে সন্ত্রাস মোকাবিলার কথা যে এসেছে, তা বৈঠক পরবর্তী যৌথ বিবৃতিতে স্পষ্ট।
সাংবাদিক বৈঠকে মোদী বললেন, সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদের মতো বিপদের মোকাবিলার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা আমরা জোরদার করব।
এ ব্যাপারে অন্য দেশগুলির সহযোগিতা চেয়ে মোদী-মার্কেলের যৌথ বিবৃতি, গুরুত্বপূর্ণ এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান এবং আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ রোখার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উপর জোর দেব আমরা।
এ দিন রাষ্ট্রপতি ভবনে মার্কেলকে স্বাগত জানান মোদী। বৈঠকের আগেই দু’দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন মার্কেল। বলেন, ভারত ও জার্মানির যোগসূত্র খুবই ঘনিষ্ঠ। এই বিপুল দেশ এবং তার বৈচিত্র্যের জন্য আমাদের মনে যথেষ্ট সম্মান রয়েছে।
বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে প্রায় ২০টি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনে রাজকীয় অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মার্কেল। পরে রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধাও জানান তাঁরা।
বিতর্ক শুধুমাত্র মাথাচাড়া দিয়েছিল রাষ্ট্রপতি ভবনের আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনার সময়। সে সময় ভারতের জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন বসে থাকতে দেখা যায় মার্কেলকে। সে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়।
পরে, সরকারি সূত্রে জানা যায়, মার্কেলের শারীরিক অসুস্থতার জন্যই জাতীয় সঙ্গীতের সময় তাঁকে বসতে দেওয়ার অনুরোধ পাঠিয়েছিল জার্মান প্রশাসন। ভারত সেই অনুরোধে ইতিবাচক সম্মতি দিয়েছে। এই সাফাইয়ের পরই বিতর্কের আগুনে জল পড়ে।