শীর্ষবিন্দু নিউজ: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন কয়েক মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে করোনা ভাইরাসের টীকা। এই রোগকে থামিয়ে দিতে এই টীকা নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে তার টিম।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান জেনার ইন্সটিটিউটে এ নিয়ে কাজ করছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট ও তার টিম। তারা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ক্লিনিক্যালি ইতালিতে শিগগিরই ১০০০ ডোজ পরীক্ষামুলকভাবে ব্যবহার করা হবে।
এখন পর্যন্ত এই ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে পারে এমন কোনো টীকা আসে নি। তবে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা এর আগে সতর্ক করে বলেছেন, এই টীকা আসতে পারে আরো দেড় বছরের মধ্যে। ওদিকে এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। তা ২১০০ ছাড়িয়ে গেছে।
আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছুই ছুই করছে। এ অবস্থায় কয়েক মাসের মধ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দ্রুততার সঙ্গে টীকা আবিষ্কারের জন্য কাজ করছেন প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একই টিম একই রকম করোনা ভাইরাস- যার নাম মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স), তার বিরুদ্ধে টীকা আবিষ্কার নিয়ে কাজ করছেন। এই টিমটি এবারের নতুন করোনা ভাইরাস কভিড-২০১৯ এর বিরুদ্ধে টীকা বানাতে চেষ্টা করছে। জেনার ইন্সটিটিউটের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে প্রফেসর গিলবার্ট বলেছেন, নোবেল করোনা ভাইরাসের টীকা তৈরি করার প্রয়োজন দ্রুততার সঙ্গে।
ইতিমধ্যে ইতালিয়ার ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডভেন্ট এসআরএল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক উৎপাদনে রাজি হয়েছে। ফলে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলছে কাজ। ফলে কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হবে করোনাভাইরাসের টীকা। কোনও রোগের টীকা প্রস্তুত করতে সাধারণত কোটি কোটি ডলার প্রয়োজন হয়।
এরপর তা পরীক্ষা করা হয় হাজারো মানুষের ওপর। সেখানে সফল হলেও সেই টীকা বাজারে বিক্রির আগে বেশ কিছু নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। তবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে খুব বেশি সময় নেয়ার সুযোগ নেই।
ইতিমধ্যে এই ভাইরাসে দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৭৬ হাজার। বিশ্বের কমপক্ষে ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। শিগগিরই এর টীকা পাওয়া না গেলে এর ক্ষয়ক্ষতি সীমা ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।