ব্রিটেনে এখনো প্রতি মাসে ৩,০০০ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন। আর গড়ে প্রতিদিন ১০০ জন। করোনা ভাইরাসে প্রতি মাসে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ৯ লক্ষ (গড়ে ৩০,০০০ করে দিন হিসেবে)।
কিন্তূ আমরা অধিকাংশ জন এর সামান্যতম কেয়ার করি! দেখা যাচ্ছে যাদের নিকটজন মারা গেছেন, কিংবা লাইফ সাপোর্টে আছেন অথবা হাই অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়ে হসপিটালে আছেন, তাদের নিকটজন ছাড়া আমরা কেউই কোন বিয়ের অনুষ্ঠান অথবা কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলে, না আছে মাস্ক অথবা সামাজিক দূরত্বের নমুনা! যা ভাইরাসকে দূরে রাখার জন্য একান্ত জরুরি।
আবার কেউ মাস্ক পরে গেলে অনেকে হাসি ঠাট্টা করেন। আবার অনেকে মজার করে টেনে মাস্ক খুলে ফেলেন। কিন্তূ এই বন্ধু হাসপাতাল এ গেলে কিন্তূ আপনি সাথে যাবেন না! অনেকে আবার ভাইরাস নিয়ে কাজেও যান। তাহলে কি আমরা নিজের মৃত্যু কিংবা হাসপাতাল এ যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবো!
এই ভাইরাসকে আমাদের মোকাবেলা করতে হবে সম্মিলিতভাবে। এখন যদি মাসে ৯ লক্ষ আক্রান্ত হন, তাহলে স্কুল খুলে দিলে এবং শীতকাল আসলে কি হবে তা আল্লাহই জানেন। তাই এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের সবার সচেতনতা খুবই জরুরী। যাদের নিকটজন মারা গেছেন অথবা হাসপাতাল এ আছেন, তারাই জানেন এটা কত বড় ঘাতক ও যন্ত্রণাদায়ক।
ডাবল ভ্যাকসিন দেয়ার পরেও অনেকে হাসপাতালে আছেন। তাই সচেতনতার কোন বিকল্প নাই। মনে রাখবেন, আপনি সরকারের কাছে একটি সংখ্যা কিংবা পরিসংখ্যান এর একটি উপাত্ত কিন্তূ আপনার পরিবারের কাছে আপনি একটি ভালোবাসার উপাখ্যান!
তাই আসুন নিজে বাঁচি, অন্যকে বাঁচাই! নিজে থেকে নিয়মনীতিগুলো যেমন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পড়া, হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা চলমান রাখি আর সবশেষে অনুরোধ ভ্যাকসিনটা দিয়ে দেই (যদি না দিয়ে থাকি!!) কারণ এটা রোগটাকে প্রাণঘাতী হওয়া থেকে আপনাকে-আমাকে বাঁচাবে যদি আমি-আপনি আক্রান্তও হয়ে যাই।
লেখক: বিলেত প্রবাসী সাংবাদিক।
Leave a Reply