চায়ের টেবিলে চলা আড্ডার এক মৌলিক আলোচ্য বিষয় ফেইসবুক পেজ চ্যানেল ইউরোপ এখন আইপি টিভিতে যোগ হয়েছে। বিশ্ব বাংলা মিডিয়ায় আই পি টিভি তালিকায় যোগ হলো নতুন আরেকটি নাম চ্যানেল ইউরোপ।
চ্যানেল আই ইউরোপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র সাংবাদিক জনপ্রিয় উপস্থাপক লেখক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজা আহমেদ ফয়সাল চৌধুরী সুয়েবের ব্যাবস্থাপনায় পরিচালিত চ্যানেল ইউরোপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি সর্ব আলোচিত পেজ ছিলো।
জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা পেজটি এখন আইপি টিভি হিসেবে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পরে তার প্রতিষ্ঠিত স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আই ইউরোপ ২০১৮ সালে বন্ধ হয়। চ্যানেল আই বন্ধ হওয়ার পর ভেবেছিলাম তার সাংবাদিকতা কিংবা মিডিয়া জীবনের সমাপ্তি এখানেই হলো। ২০১৯ সালে তিনি হজ্জ পালন করেন। আমি নিশ্চিত হলাম তিনি সাংবাদিকতা সহ সব কিছু থেকেই বিদায় নিবেন। একদিন কথা প্রসঙ্গে দুঃখ করে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনী কর্নেল ফারুক রহমানের ছেলে যেদিন পূর্ব লন্ডনের একটি রেষ্টুরেন্টে প্রেস কনফারেন্স করেছিল সেদিন ইংল্যান্ডে কোনো আওয়ামী লীগ নেতা সমর্থক ছিলেন না তার প্রতিবাদ করার মতো।
সেদিন তার প্রতিবাদ করেছিলাম আমি রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী সুয়েব। তখন চলছিল আওয়ামী লীগের দুর্দিন। আজ সুবাতাস বইছে, তাই পালের হাল ধরেছেন এখন সবাই। ইউরোপের বাংলা মিডিয়া জগতে তখন অনেক টিভি, পত্রিকা ছিলো। কারো ঘরে তখন দাঁড়াবার জায়গাটা ছিলো না আজকের এই আওয়ামী লীগের। তখন আমি সুয়েব চৌধুরী নিজের পকেটের টাকা ও সময় খরচ করে নেতাদের খুজে খুজে টেনে এনে চ্যানেল আই অফিসে অনুষ্ঠান করিয়ে পরিচিতি করিয়ে দিয়েছিলাম। আজ সকলের জায়গা হয়েছে আওয়ামী পালে। আর আমার তকমা মিলেছে জামায়াত, বিএনপি’র এজেন্টের।
কেউ কেউ আবার বলেন, রাজাকার। এই আওয়ামীলীগ সরকারই আমাকে এইসব তকমায় সীলমোহর দিয়েছ। আমার প্রতিষ্টিত টিভি চ্যানেল আই বন্ধ করে দিয়েছে এই আওয়ামী লীগ। চ্যানেল আই বন্ধ করে দেয়াতে আমার ক্ষতি হয়েছিলো তখন প্রায় ১.২ মিলিয়ন পাউন্ড, যা বাংলাদেশী টাকায় ১২ কোটি টাকার চেয়েও বেশি ছিলে।
ফয়সল চৌধুরী শোয়েবের কথা শোনে তখন ভেবেছিলাম মিডিয়া জগতে তিনি আর পা রাখবেন না। তার কিছু দিন পর তিনি হজ্জ থেকে ফিরে এসে বললেন মিডিয়ায় ফিরবেন। তারপর তিনি ফিরলেন চ্যানেল ইউরোপ নামে একটি ফেসবুক পেইজ নিয়ে। সেই পুরনো স্টেট ডায়লগ অনুষ্ঠান শুরু করেন। বর্তমান সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় সমালোচনা সহ বিভিন্ন দল ও মতের নেতা এবং সামাজিক অনৈতিকতার বিরুদ্ধে কথা বলেন তিনি।
আজ বিশ্বজুড়ে চায়ের টেবিলের আড্ডায় আলোচ্য ব্যক্তি তিনি। মাঝে মধ্যে দেখা হলে বলতেন সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। একদিন তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে পার্থক্য কি? সহজ সরল ভাবে বলেছিলেন, একটা হচ্ছে খাম্বা চোর আরকটি হচ্ছে ডিজিটাল চোর।
মাস দুয়েক আগে তার ফেইসবুক নিয়ে কষ্টের কথা আমাকে বলেছিলেন। কথায় কথায় ফেইসবুক রেস্টিকশন দিয়ে রাখে, এই সব অসহ্য লাগে। বলেছিলাম স্যাটেলাইট টিভি নিয়ে আসেন, বললেন সোস্যাল মিডিয়ায় মানুষ আসক্ত।বলেছিলেন আই পি টিভির কথা ভাবছেন। তার এক কলিগ এক সময় চ্যানেল আই ইউরোপে কাজ করতেন, বলেছেন তিনি সবকিছুতে সহযোগিতা করবেন। এসব কথা সপ্তাহ আগের, ৫ ফেব্রুয়ারী ডেকে নিয়ে বললেন এই নাও। দেখলাম চ্যানেল ইউরোপ আইপি টিভি হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেছে। জিঙ্গেস করলাম বলা নেই হঠাৎ করেই আইপি টিভির পরীক্ষামূলক সম্প্রচার পাত্তাই পেলামনা কি করে কি হলো। বললেন, পরিচিত একজন সব কিছু সম্পন্ন করেছেন।
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী ইউকে ইউরোপ সহ পৃথিবীর সব বাংলা ভাষাভাষি মানুষের সর্বাত্নক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ফেসবুকের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। কারন ফেসবুক তাকে কথা বলার জায়গা করে দিয়েছিল। ফেইসবুক না হলে বতর্মান আওয়ামী সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসন নির্যাতনের চিত্র উঠে আসত না।
ফয়সল চৌধুরী শোয়েব বলেন, আইপি টিভি খুব শিঘ্রই সকল জাযগায় সকল মানুষের জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। তার টিভি মা মাটি ও তার মানুষের কথা বলবে ও কাজ করবে। চ্যানেল ইউরোপের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার দেখা যাবে https://www.jagobd.com/channeleurope এই ওয়েব ঠিকানায়।
Leave a Reply