বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক কার্যকরী ও আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা নিয়ে কঠোর প্রদক্ষেপ না নিয়ে শুধু গোল টেবিল আলোচনায় সীমান্তে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের হত্যার যে সংস্কৃতি চালু রয়েছে তা রোধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন ই আর আইয়ের নেতৃবৃন্দ ।
৭ই জানুয়ারী ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল (ইআরআই) এর উদ্যেগে লন্ডনে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনটির সভাপতি মো: মাহবুব আলী খানসুরের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি নৌশিন মোস্তারী মিয়া সাহেবের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- মানকবাধিকার কর্মী ছাত্র-শিক্ষক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী ব্রিটিশ-বাংলাদেশীরা।
উক্ত মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন অত্যান্ত নিষ্ঠুরভাবে কিশোরী ফেলানীকে ভারতীয় বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে যাহা ইতিহাসের অন্ধকার যুগকেও হার মানায়। দীর্ঘ ১২ বছর ফেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ সরকারের নতজানু নীতির কারণে ফেলানী হত্যার বিচার এবং হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিও ঘোষের শাস্তি আদৌ হয়নি বলে দাবী করেন বক্তারা।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক আইনের কোন তোয়াক্কা না করে সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করছে। গত ২০০০ সাল থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সীমান্তে ১২৫৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী।
এছাড়া একই সময়ে ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী ১৪০৮ জন বাংলাদেশীকে অপহরণ করেছে। গুলিতে আহত হয়েছেন আরো ১১৫৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক। আমরা মানবাধিকার সংগঠন ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অতিসত্বর ফেলানী হত্যার বিচার এবং সীমান্তে হত্যা রোধের জন্যে জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সীমান্তে “Shoot-on-Sight” তথা দেখা মাত্র গুলি” বিএসএফের এই নীতির কড়া সমালোচনা করে সংগঠনটির সেক্রেটারি এবং মানববন্ধনের পরিচালক নৌশিন মোস্তারী মিয়া সাহেব বলেন, আধুনিক সভ্যতার এই যুগে এই নীতি চরম বর্বর এবং অমানবিক। ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে এই নীতি নিষিদ্ধ করতে আমরা এই মানব বন্ধন থেকে জোর দাবী জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাজ্যে গত এক বছরে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ৪৫ হাজারের বেশি বিভিন্ন দেশের মানুষ প্রবেশ করেছে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষ যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন। অথচ ভারতের তাবেদার ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের আমলেও সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যাকাণ্ড থামছে না।
উক্ত মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সহ সভাপতি রোকতা হাসান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোঃ ওসমান গনি, মোঃ এমদাদুল হক, এ এ ওয়াহিদুল ইসলাম, মোঃ নাহিদ তালুকদার, এস এম রেজাউল করিম, শাহরিয়ার কালাম আজাদ।
অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন- ফাইটস ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোঃ আমিনুল ইসলাম সফর সহ আরো অনেকে।
তাছাড়া উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- মোঃ শাহাদাত হোসাইন, জুবায়ের আহমেদ, সায়েম আহমদ, মোঃ আনোয়ারুল আমিন, আল আমিন, মোঃ মাসুদুল হাসান, আবু জাফর আব্দুল্লাহ, রাজু আহমেদ, আব্দুল আলিম, জামিল হোসাইন, এরশাদুল ইসলাম তপু, লেয়াকত হোসাইন ও মোঃ মনসুর উদ্দিন প্রমুখ।
Leave a Reply