প্রযুক্তি আকাশ |
নতুন ফ্রিজ প্রযুক্তিজার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা সম্প্রতি নতুন ধরনের একটি রেফ্রিজারেশন প্রযুক্তির উন্নয়নে সফল হয়েছেন। ম্যাগনেটোক্যালরিক রেফ্রিজারেশন প্রযুক্তিটি নিয়ে দীর্ঘ ১০০ বছর ধরে গবেষণা করে আসছিলেন গবেষকেরা।
এই প্রযুক্তিটি সম্প্রতি ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা সম্ভব হয়েছে বলেই গবেষকেরা দাবি করেছেন। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গিজম্যাগ। জার্মানির গবেষকেরা দাবি করেছেন, এক দশকের মধ্যে নতুন প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে।
মানুষের গেরস্থালি পণ্যের মধ্যে রেফ্রিজারেটর তার জায়গা করে নিয়েছে। গত কয়েক বছরে রেফ্রিজারেটরের কুলিং সিস্টেমের অনেক উন্নয়ন করেছেন গবেষকেরা। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের পরও বাড়ির সবচেয়ে বেশি বিদ্যুত্ খরচ করা যন্ত্রের তালিকায় চলে আসে ফ্রিজের নাম। গবেষকেরা দাবি করছেন, তাঁরা চুম্বকশক্তির সাহায্যে যে রেফ্রিজারেটর প্রযুক্তির উন্নয়ন করেছেন, তা যেমন পরিবেশবান্ধব তেমনি বর্তমান প্রযুক্তির চেয়ে বেশি ঠান্ডাও করতে পারে।
অবশ্য ম্যাগনেটিক রেফ্রিজারেশন প্রযুক্তি নতুন কোনো ধারণা নয়। ১৮৮০ সাল থেকেই ম্যাগনেটোক্যালরিক প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। এই পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেটর তৈরির প্রচেষ্টাও করেছেন অনেকেই। ১৯৩০ সালের দিকেই এই প্রযুক্তির উন্নয়নকাজ শুরু হয়। আশির দশকে লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষকেরা এ পদ্ধতিতে কয়েক ডিগ্রি পর্যন্ত শীতলীকরণ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু পদ্ধতিটি রেফ্রিজারেটরে আনতে গবেষকেরা ব্যর্থ হয়েছিলেন, কারণ যে চুম্বক ব্যবহার করে শীতলীকরণ করা হয়, তাকে আবার শীতল করতে হয়। গবেষকেরা দাবি করেছেন, গত এক দশক চেষ্টার পর এখন তাঁরা ম্যাগনেটোক্যালরিক রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিটিকে কার্যকর করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন।