শীর্ষবিন্দু নিউজ: উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ ও দক্ষিণ সুরমা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ ও সদর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহ জামাল নূরুল হুদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপি দফতর সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভী সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে বহিষ্কারের পর এই প্রার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় নেতাদের কাছে পাচ্ছেন না তারা। এ নির্বাচনে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে আলী আহমদ ও এটিএম ফয়েজ দক্ষিণ সুরমায় এবং শাহজামাল নূরুল হুদা সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজবী আহমদ স্বাক্ষরীত বিজ্ঞপ্তিতে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি এম এ হক সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি সূত্র জানায়, ১৯দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কেন্দ্রের নির্দেশনা রয়েছে। দল ও জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হওয়ায় এই নেতাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা ও কানাইঘাটে ১৯ দলের একক চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেট সদরে ও কানাইঘাট উপজেলায় বিএনপি এবং দক্ষিণ সুরমায় চেয়ারম্যান প্রার্থী পেয়েছে জামায়াত।
সে অনুযায়ী সিলেট সদরে জামায়াতের প্রার্থী জালাল আহমদ ১৯ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আর একইদিন কানাইঘাটে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রহিমকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জামায়াত। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি-জামায়াত জোট রক্ষার স্বার্থে এবার বহিষ্কার করা হলো দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় বিএনপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ, সদর উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ জামাল নুরুল হুদাকে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে তাদেরকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সিলেট জেলা ও মহানগর ১৯ দল সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ১৯ দল থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াতের মাওলানা লোকমান হোসেনকে। কিন্তু জেলা বিএনপির আলী আহমদ প্রচারণা অব্যাহত রাখায় এবং বিদ্রোহী হয়ে প্রার্থিতার ঘোষণা দেওয়ায় জামায়াতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইভাবে জামায়াতও কানাইঘাট উপজেলায় বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী আশিক চৌধুরীকে সমর্থন দিয়ে নিজ দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুর রহিমকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে।
সিলেট বিএনপি সূত্র জানায়, দল থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। সদর উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে আবুল কাহের চৌধুরী শামীমকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মনোনয়ন দিয়েছেন। তাই বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় শাহ জামাল নুরুল হুদাকে বহিষ্কার করা হয়। এম এ হক জানান- দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে প্রার্থী হওয়ায় সিলেটের তিন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজবী তাকে বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানান হক।